জুমার দিন যে কারণে ভয়ে থাকেন ফেরেশতারাও

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জুমার দিন যে কারণে ভয়ে থাকেন ফেরেশতারাও
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫



জুমার দিন যে কারণে ভয়ে থাকেন ফেরেশতারাও

ইসলামে জুমার দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর বিভিন্নভাবে এ দিনটিকে মর্যাদা দিয়েছেন। সৃষ্টিকুলের ইতিহাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে জুমার দিন। প্রথম মানুষ ও নবী হযরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছিল জুমার দিন, তাকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল জুমার দিন, তার দুনিয়া ত্যাগও হয়েছিল জুমার দিন।

এ ছাড়া কিছু হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, কেয়ামত সংঘটিত হবে জুমার দিন এবং এ কারণে মানুষ ও জিন ছাড়া পুরো সৃষ্টিজগত এ দিন ভীত-সন্ত্রস্ত থাকে। হাদিসটি আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত।

দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। তাকে দুনিয়াতে নামানো হয়েছে এ দিন। তার মৃত্যুও হয়েছে এ দিন। তার তাওবা কবুল হয়েছে এ দিন। এ দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। মানুষ ও জিন ছাড়া এমন কোনো প্রাণী নেই, যা কেয়ামত কায়েম হওয়ার ভয়ে জুমার দিন ভোর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত চিৎকার করতে থাকে না। জুমার দিন একটা সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সে সময় নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে তা দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬, সুনানে নাসাঈ: ১৪৩০)

আরেকটি হাদিসে নবিজি (সা.) বলেছেন আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারাও জুমার দিন সন্ত্রস্ত থাকেন, শুধু তাই নয়, আকাশ, বাতাস, সাগর, পাহাড়-পর্বতসহ সমস্ত পৃথিবী এ দিন উদ্বিগ্ন ও ভীত থাকে।

জুমার দিন দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। জুমার দিনের বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। এ দিনই তাঁকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এ দিনেই আল্লাহ তাঁকে মৃত্যু দান করেছেন। জুমার দিন একটা সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাআলা তাকে তা-ই দান করবেন, যদি না সে হারাম কোনো বিষয়ের প্রার্থনা করে। কেয়ামতও সংঘটিত হবে জুমার দিন। জুমার দিন নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা কেয়ামতের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত থাকেন। উদ্বিগ্ন থাকে পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, পাহাড়, পর্বত, সাগর সবকিছু। (মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫৪৮, সুনানে ইবনে মাজা: ১০৮৪১)

সুতরাং জুমার দিন আমাদেরও বেশি বেশি কেয়ামতের কঠিন দিনের কথা স্মরণ করা উচিত। আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা মনে করে সেজন্য নিজেদের প্রস্তুত করা, গুনাহগুলোর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৯:৪০   ১১৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ইতিহাসের এই দিনে
আল কোরআন ও আল হাদিস
দেবীদ্বারে দুই অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস, ৮ লাখ টাকা জরিমানা
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে কাজ করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ.)-এর ৭১তম ওরশ শুরু
সোনার দামে ফের রেকর্ড, ভরি ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা
ঢাকা চেম্বারের ৬৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ : গ্রেপ্তার ৯
নারায়ণগঞ্জে মেঘনা তেল ডিপোতে চালানবিহীন তেল আটক
১২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ