মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে সচিবরা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে সচিবরা
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫



সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে সচিবরা

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বেশ কয়েকজন সচিব।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিকেল পৌনে ৩টায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে।

সরকারি কর্মচারী সংশোধন অধ্যাদেশ ঘিরে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ০৭ সচিবকে নিয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরাম নেতাদের বৈঠক শুরু হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।

এদিকে, অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।

জারি করা গেজেট-

সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। তারা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়।
সেগুলো হলো— কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, এছাড়া কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। যা গত রোববার সন্ধ্যায় গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:৩৩   ৩২ বার পঠিত