
প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহের দুই উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমন্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের গুজরাট থেকে সেখানকার পুলিশ আটক করে। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের মারধর করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (৩ জুন) দিবাগত ৩টার দিকে ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়। এদের মধ্যে ১২ জন নারী, দুই শিশু ও আটজন পুরুষ।
বিজিবি জানায়, ধোবাউড়ার মুন্সীপাড়া এলাকার সীমান্ত দিয়ে এক শিশু ও তিন নারীসহ ১২ জনকে পুশইন করলে আটক করে বিজিবি। অপরদিকে হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর সীমান্ত দিয়ে এক শিশু ও ৯ নারীকে পুশইনের পর আটক করা হয়।
আটকদের দাবি, গত ২৪ মে গুজরাট থেকে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের মারধর করা হয়। এমনকি, তাদের কাছ থেকে মোবাইল, আইডিকার্ড, আধার কার্ডসহ যাবতীয় মালামাল রেখে দেয়।
তারা জানান, তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল, সিরাজগঞ্জ ও খুলনা জেলায়। ২০০৪ সালে দালালের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান তারা। গুজরাটে তারা বিভিন্ন দোকানে কাজ ও ব্যবসা বাণিজ্য করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিকত্বও পান। তবে হুট করেই অভিযান চালিয়ে বস্তি ও বিভিন্ন দোকান থেকে তাদের আটক করে গুজরাট পুলিশ। কিছুদিন আটকে রেখে সোমবার রাতে মুন্সীপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করেছে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে।
এ ব্যাপারে বিজিবির ময়মনসিংহ সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় ভোররাতেই বিএসএফের কাছে আমরা প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি। আটকদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০১:৪৭ ১৫ বার পঠিত