বর্ষা শুরু হতে না হতেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে ডেঙ্গু। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। আর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হঠাৎ হঠাৎ হওয়া বৃষ্টিতে আরও ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি।
সরকারি হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার, মৃত্যুও হয়েছে অনেকের।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর ছাদবাগানগুলো এখন শুধু শখের নয়, ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্রও হয়ে উঠেছে। বাড়ির ছাদে টবে জমে থাকা পানি, প্লাস্টিক ড্রাম কিংবা অব্যবহৃত পাত্রে জন্ম নিচ্ছে ভয়ংকর এডিস মশা।
এবার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে তেমন উদ্যোগ নেই অভিযোগ করে ব্যক্তি পর্যায়েও নিজেদের সচেতনতার কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাজধানীর বনশ্রী এলাকার আবদুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, মশার উপদ্রবে শুধু রাতে নয়, দিনেও বাসায় থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের কোনো উদ্যোগ নেই। বনশ্রী ও আফতাব নগরের মাঝ দিয়ে যে খাল বয়ে গেছে, তা এখন মশার সবচেয়ে বড় প্রজননক্ষেত্র। এ ছাড়া আবাসিক এলাকা হওয়ায় প্রতিটি বাড়ির ছাদেই মালিকরা বাগান করেছেন, এ জন্যও মশার প্রজনন বাড়ছে। দ্রুতই এ এলাকায় মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, উত্তর সিটি করপোরেশনে নিয়মিত মশক নিধনে ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং সেল করা হয়েছে। বাড়ানো হচ্ছে জনসচেতনতাও। ডেঙ্গু বিস্তার রোধে আনা হচ্ছে বিটিআইসহ মশক নিধন ওষুধ।
অন্যদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসকের কথায়ও একই সুর। ডেঙ্গু মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে কার্যকরী পদক্ষেপ।
ডিএসসিসি প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানান, মশক নিধনে ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং সেল করা হয়েছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১০:২৯ ১৩ বার পঠিত