
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিগত ৫০ বছরে কোনো সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেনি। এখনও পঞ্চগড় সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। সীমান্তে পুশইন করা হচ্ছে। আমরা দলমত নির্বিশেষে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ে জুলাই পদযাত্রা শেষে শহরের চৌড়ঙ্গী মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।
এদিন বিকেলে পঞ্চগড় জেলা স্টেডিয়াম থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার অংশ গ্রহণে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শহর।
ভারতের উদ্দেশ্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, যদি পুশইন করতেই হয়, তাহলে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের পাঠান। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, ছাত্র জনতার বাংলাদেশ। যদি পাঠাতেই হয় হাসিনা ও তার দোসরদের পাঠান। আমরা তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো। কোনোভাবেই এই পুশইন আর মেনে নেওয়া হবে না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, এনসিপি নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ, ডা. তাসনিম জারা, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ।
‘দেশ গড়তে জুলাই’ পদযাত্রার অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা পদযাত্রা করেন।
নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আমরা রাজপথ থেকে জানিয়ে দিতে চাই উচ্চকক্ষ ও পিআর নিয়ে এনসিপি এক বিন্দু ছাড় দেবে না। ভারত বলি, চীন বলি, যুক্তরাষ্ট্র বলি কোনো দেশ বাংলাদেশকে মাথানত করাতে পারবে না। বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে একটি কাকপক্ষিও যদি ঢোকানোর চেষ্টা করা হয় পঞ্চগড়বাসী বর্ডারে গিয়ে নতুনভাবে মানচিত্র তৈরি করবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনারা যেমন টাইমফ্রেম করে নির্বাচন চাচ্ছেন একইভাবে বিচার ও সংস্কারে টাইমফ্রেম দিন।
তাসনিম জারা বলেন, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী সবার হয়ে কাজ করবে। কোনো দলের কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করবে না। আমরা এমন ব্যবস্থায় আর ফেরত যাবো না যেখানে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিজেই তার নাগরিককে খুন গুম করে।
সারজিস আলম পঞ্চগড়ের সুগার মিল চালু করাসহ নানা উন্নয়নে কথা তুলে ধরে সবাইকে এনসিপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫২:১২ ১২ বার পঠিত