ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। রোববারও (১৩ জুলাই) উপত্যকার একটি ব্যস্ত বাজার এবং একটি পানি বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে ৯৫ জন ফিলিস্তিনিকে। আর এর মধ্য দিয়ে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় মৃতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার গাজা সিটির বাজারে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বিশিষ্ট চিকিৎসক আহমেদ কান্দিলও রয়েছেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি পানি সংগ্রহস্থলে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন।
চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সাত শিশুও ছিল যারা খাবার পানি সংগ্রহের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল। ওই হামলায় আরও কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন।
গাজা সিটির বাজারে হামলার বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তাদের দাবি, নুসেইরাতে আক্রমণটি একজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল এবং কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ইসরাইলের এমন দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
নেদারল্যান্ডসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবী জেসিকা ডরসি ইসরাইলের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।’
আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে ভুল ঘটেই, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ে, গত ২১ মাস ধরে আমরা যে ধরনের বেসামরিক ক্ষতি দেখেছি, তা বিবেচনা করে আপনার এটিকে ভুল বলা নিয়ে এবং বাস্তবে এটি ইচ্ছাকৃত ঘটনা কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৩:৫৯ ১২ বার পঠিত