শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

আবদুল্লাহ আল নোমান সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » আবদুল্লাহ আল নোমান সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫



আবদুল্লাহ আল নোমান সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, চট্টগ্রাম তথা দেশের রাজনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়াত জননেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একজন উদার এবং বড় মাপের মানুষ। সব সময় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রামের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

আজ শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অডিটোরিয়ামে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান এর স্মরণে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান একজন প্রগতিশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি দুই মেয়াদে মন্ত্রী থাকাকালীন অত্যন্ত নির্মোহভাবে, সততা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তার চিন্তা চেতনা মননে যেমন প্রগতিশীলতা স্থান পেয়েছে, তেমনি তিনি একজন ধর্মভীরু মানুষ ছিলেন। তার মতো সৎ নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বসা দরকার। জাতীয়তাবাদের ধারক বাহক এই নেতা আমৃত্যু নিজ এলাকাবাসীর কাছে একজন মহান দরদি নেতা হিসেবে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর যত ভালো কাজ দেখেছি সব কাজে আব্দুল্লাহ আল নোমানের হাত ছিল। তিনি মৎস্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে থাকার সময় এই কাজগুলো করে গেছেন। তাকে আমি অনুসরণ করে প্রতিটি মুহূর্তে যতটুকু পারি ভালোভাবে কাজ করার চেষ্টা করি।

উপদেষ্টা আরো বলেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে থাকত না, যদি তিনি সময়মতো দৃঢ় অবস্থান না নিতেন। পাথরঘাটা মহিলা কলেজ, এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, জেনারেল হাসপাতাল, কর্ণফুলী সেতু সবখানেই তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে শুরু করে আধুনিক চট্টগ্রাম গঠনে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য, সেই আব্দুল্লাহ আল নোমানের নাম ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান একজন মাটির মানুষ ছিলেন। ক্ষমতা থাকার পরও তিনি সব সময় যে কোনো কাজ ঠান্ডা মাথায় করতেন। কখনো কোনো প্রতিষ্ঠানকে দলীয় বিবেচনায় নিতেন না। মানুষ সব সময় যেটি করতেন তিনি ঠিক তার ব্যতিক্রমটা করতেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো যদি সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করে তাহলে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।

সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সিভাসুর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, দৈনিক পূর্বকোণের নগর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী খান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, সিভাসু’র প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, সিভাসু’র পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুদ্দিন, চট্টগ্রাম ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. সিকান্দার খান, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের সুযোগ্য পুত্র চট্টগ্রাম ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান, আব্দুল্লাহ আল নোমানের সুযোগ্য কন্যা তাজীন নোমান নুমা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সিভাসুর প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সিভাসুর পরিচালক (ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট) প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক সিভাসুর গল্প এবং আবদুল্লাহ আল নোমানের অবদান শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:০২:৫২   ৯ বার পঠিত