
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা শুধু একটি দাতব্য খাত নয়, এটি একটি মানবিক অঙ্গীকার। এটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। তিনি সামাজিক সুরক্ষা কাঠামোকে আরো সমন্বিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই করে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
উপদেষ্টা আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত ন্যাশনাল কনফারেন্স অন সোশ্যাল প্রটেকশন ২০২৫-এর সমাপনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং ২৪ এর জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়া। সেই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাঠামোগত সংস্কার করে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে, সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং দেশের সকল ক্ষেত্রে এমন প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছাতে হবে যেখানে আমরা গত ৫০ বছরে পৌঁছাতে পারিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে এই কর্মসূচিগুলোর আরো কার্যকর বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি উপকারভোগীদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বাড়াতে তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা ও সুশাসন প্রয়োজন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উপকারভোগী নির্বাচন, বরাদ্দ প্রদান এবং তদারকির প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে।
সম্মেলন অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মনজুর হোসেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের হেড অব ডেভেলপমেন্ট এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি সৈয়দ হায়দার এবং ইউএনডিপি’র ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালী দয়ারত্ন বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০:০০:১৭ ২০ বার পঠিত