বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও জামায়াতে ইসলামীর পর পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায়, ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এ সময় সরকার পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ঘোষণা না দিলে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম ও গণহত্যা এবং দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, কেবল নির্বাচন ও ক্ষমতার পালাবদলের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি। দেশকে স্থায়ীভাবে স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করতে মৌলিক সংস্কার ছিলো উদ্দেশ্য। কিন্তু সংস্কার ও বিচারকে গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচনকে মুখ্য করে তোলা হয়েছে। যা দেশকে অশুভ বন্দোবস্তে নিপতিত করবে।
আগামী নির্বাচনে এক বক্সে ইসলামী দলগুলো ভোট আনার ব্যাপারে অনেকটা কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছেছেন বলেও জানান সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫১:১০ ৩৭ বার পঠিত