বিশ্বের সর্ববৃহৎ হালাল পণ্য ও সেবার প্রদর্শনী ‘মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল প্রদর্শনী (মিহাস) ২০২৫’ -এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
এবারের আয়োজনে বাংলাদেশের ১২টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে, যাদের মধ্যে রয়েছে কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার, খাদ্যপণ্য, জামদানি, হস্তশিল্প, পাটজাত পণ্য, সিরামিক, লেদারসহ নানা খাতের কোম্পানি।
ঢাকায় আজ এক প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার সকালে মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মত শাহানারা মনিকা এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক-১ বেবী রাণী কর্মকার। তারা বাংলাদেশের উৎপাদিত বিশ্বমানের পণ্য দেখে প্রশংসা করেন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মালয়েশিয়া বহুমুখী বাণিজ্য উন্নয়ন করপোরেশন জানিয়েছে, এবারের মেলায় ৮০টি দেশের ১ হাজার ১৯টি কোম্পানি ২ হাজার ৩৮০টি বুথে পণ্য প্রদর্শন করছে এবং প্রায় ৪৫ হাজার দর্শনার্থীর উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে।
মেলায় হালাল খাদ্য ও পানীয়, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ইসলামিক অর্থায়ন, ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল পণ্য, প্রসাধনী এবং মুসলিম-বান্ধব পর্যটনসহ বিস্তৃত পণ্য ও সেবা প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি রয়েছে বিশেষ ক্রয় মিশন, নলেজ হাব সেমিনার, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও ব্যবসায়িক সংলাপের আয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের সম্ভাবনা তুলে ধরছে। হালাল কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার শিল্প বিশ্বব্যাপী দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রতিবছর প্রায় ৮ শতাংশ হারে এর বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। শুধুমাত্র মুসলিম ভোক্তাদের নয়, নিরাপদ ও নৈতিক পণ্য হিসেবে অ-মুসলিমদের মধ্যেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বলছেন, এই ধরনের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ রপ্তানি সম্ভাবনা বাড়াবে। নতুন বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করবে এবং দেশের উৎপাদনশীল খাতকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে নেবে।
আয়োজকদের মতে, মহাস - ২০২৫ শুধুমাত্র একটি প্রদর্শনী নয়, বরং বৈশ্বিক হালাল শিল্পে মান, উদ্ভাবন ও অংশীদারিত্বের প্রতিফলন। ২০২৪ সালের মেলায় ৪.৩ বিলিয়ন রিঙ্গিত বিক্রি রেকর্ড করেছিল, এবারের আয়োজনে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদুল ইসলাম জানান, আমাদের ব্র্যান্ডগুলো সর্বস্তরের ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই আস্থাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই অংশগ্রহণ। গ্লোবাল ব্র্যান্ডের বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ আমাদের দেশের উৎপাদনশীল খাতের সুনাম আরও বাড়াবে। আমরা আশা করছি, এবারের প্রদর্শনী থেকে নতুন রপ্তানি আদেশ পাব এবং কসমেটিকস শিল্পে বাংলাদেশ আরেকটি মাইলফলক অর্জন করবে।
তিনি আরও জানান, রিমার্ক ইতোমধ্যে সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়া ও আজারবাইজানে কার্যক্রম চালু করেছে। থাইল্যান্ডের বাজারেও বাংলাদেশে তৈরি রিমার্ক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে এই মেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৮:১৮ ১৮ বার পঠিত