
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দেশের অন্যতম প্রাচীন ও জনগণের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ৯ হাজার ৮৪৮টি ডাকঘরের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সারা দেশে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে বিশ্ব ডাক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রথমবারের মতো নিরাপদ ‘পোস্টাল ব্যালট’ সেবা চালুর ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষা হবে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে বিশেষ সহকারী বলেন, এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আরো সুদৃঢ় করার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। মূলত তিনটি ইনভেলপের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটদান সম্পন্ন করা হবে। ফলে প্রবাসীদের ভোট প্রদান নিরাপদ হবে এবং গোপনীয়তা অটুট থাকবে।
বিশেষ সহকারী বলেন, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এখন কেবল বার্তা বিনিময়ের মাধ্যম নয়, বরং ডিজিটাল যুগের এক আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ডাকযোগে ভূমি, পাসপোর্ট, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সেবা এখন নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরো বলেন, নাগরিকের ঠিকানার ডিজিটাল রূপান্তরে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশদারিত্বে জিও ফেন্সিং করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার পাইলট প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্রাকিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে ই-কমার্সের জালিয়াতি রোধ করা হবে। আগামী মাস নাগাদ এই প্রকল্পটি চালু হবে। এআই ও অটোমেশন সংযোজন করে ডাক সেবার গতি ও মান বাড়ানো হবে। এছাড়া ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পথ সুগম হবে।
নিকটস্থ ডাকঘরের সেবা গ্রহণ করতে এবং আধুনিক ডাক বিভাগের উন্নয়ন অভিযাত্রায় অংশ নিতে বিশেষ সহকারী গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণকে আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিনসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৭:৫০ ৮৪ বার পঠিত