![]()
শেরপুরের নকলা উপজেলায় সরকারি কৃষি প্রণোদনা দিতে অস্বীকার করায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিন মেহেদীকে থাপ্পড় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কাইয়ুম ও তার সহযোগী ফজলুকে আসামি করা হয়েছে।
রাহাত হাসান কাইয়ুম নকলার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোওলার ছেলে এবং ফজলু একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।
ঘটনার সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কক্ষে প্রবেশ করে আলোচনা করেন ছাত্রদল নেতা রাহাত। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে টেবিলের ওপর প্রান্ত থেকে বা হাত দিয়ে থাপ্পড় মারেন রাহাত। পরে ওই কর্মকর্তা চেয়ার থেকে উঠলে আবারও ওই কর্মকর্তার ওপর হামলা করেন তিনি। এক পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাকে টেনে হিঁচড়ে অফিস কক্ষ থেকে নিতে থাকলে বাইরে থাকা লোকজন তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে নকলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
এ দিকে, রাতেই ওই কৃষি কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করে নকলা শহরে মিছিল করেন রাহাতের অনুসারীরা।
অপরদিকে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) এসোসিয়েশন ।
ভুক্তভোগী মেহেদী জানান, দুজন লোক (রাহাত ও ফজলু) আমার অফিসে এসে জানতে চান আমি এখনো কেন বদলি হচ্ছি না, কারা কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে এবং নেতাদের ভাগ কত।
এরপর তারা বলেন, ছাত্রদলের ভাগ তাদের দিতে হবে। আমি জানাই, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য, রাজনৈতিকভাবে কারও ভাগ দেয়ার সুযোগ নেই। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার ওপর হামলা করেন।
এসব বিষয়ে জানতে রাহাত হাসান কাইয়ুমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মিজানুর রহমান ভূঁঞা বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩২:৪১ ১৩ বার পঠিত