
রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শিশু পাচারকালে দুই নারীকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। তাদের নাম, নাহার (৪৭) ও হাসিনা (৩৮)। আটকের পর ওই দুই নারীকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে থেকে ওই দুই নারীকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) আলমগীর হোসেন জানান, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুই নারী এক পুত্র শিশুকে নিয়ে যাওয়ার সময় আনসার সদস্যরা বাধা দেয়। পরে টহল টিম তাদের আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় নাহার নামে একটি মেডিকেল সেন্টারের মালিক নাহার এবং তার বোন হাসিনা ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুটিকে অন্য জায়গায় বিক্রি করার পরিকল্পনা করছিল। তারা কমিলা বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার চুক্তি করে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে সুকৌশলে নিয়ে যাওয়ার সময় আনসার সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে বিভিন্ন অসহায় নারীর কাছ থেকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের শিশুকে অন্যত্র বিক্রি করে। তারা স্বীকার করেছে যে শিশু পাচার এবং শিশু ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে তারা জড়িত।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তার অপারেশনের জন্য তিনি ২২ হাজার টাকা খরচ করেছেন। বাকি টাকা দিয়ে পাচারকারীরা শিশুটিকে অন্য জায়গায় বিক্রি করার চেষ্টা করছিল। পরবর্তীতে ওই নারী আর শিশুটিকে দিতে চাইছিল না এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতেও দিচ্ছিল না। গত ২৯ তারিখে কমিলা বেগম সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। আজ তারা সুকৌশলে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে বের করার সময় আনসার সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে।
অভিযুক্ত নাহারের ছেলে ফাহিম বলেন, ‘ওই মহিলা অসহায় ও গরিব। আমরা তাকে বাসায় রেখে তার দেখাশোনা করছিলাম। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন তার জরায়ুতে একটি সিস্ট ছিল এবং অসুস্থ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি। আমার মা ও খালা শিশু পাচার চক্রের অংশ নয়। আমরা কেবল তাকে সাহায্য করতে এসেছিলাম, কিন্তু মা ও খালাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের নাহার মেডিকেল সেন্টার নামে টঙ্গীর হোসেন মার্কেটে একটি হাসপাতাল রয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৪:২২ ১৪ বার পঠিত