
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামল ছিল গণমাধ্যমের জন্য কঠিন একটা সময়। আশা করছি আগামীতে এর অবসান ঘটবে।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে মিথ্যা মামলায় কয়েকজন সাংবাদিককে কারাগারে যাওয়ার মতো ঘৃণ্য ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দেশ। পত্রিকার মালিকানা বদলে দেওয়া, সম্পাদক পরিবর্তনসহ সরাসরি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া হতো। তুলনামূলকভাবে বিএনপির শাসনামল গণমাধ্যমের জন্য অধিকতর স্বস্তিদায়ক ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এই মুহূর্তে দেশের বৃহৎ দল। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে তাদেরও বড় দায়িত্ব রয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও, টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা করে বিএনপি।
তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনায় দল-মত নির্বিশেষে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এই রেশ বজায় থাকবে বলে বিশ্বাস করি। নির্বাচন নিয়ে নিজেদের করা জরিপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল, এটা স্বীকৃত। আমাদের জরিপ, আমরা যেটা করেছি।
আমরা এটা বিশ্বাস করি যে জরিপটা মোটামুটি সত্যের কাছাকাছি বা মানুষের চিন্তা জগতের কাছাকাছি। সেখানে বিএনপি কিন্তু বৃহত্তম দল হিসেবে এসেছে। নির্বাচনে অনেক বেশি ভোট পেয়ে তারা বিজয়ী হবেন, সেটা কিন্তু আছে। আমরা এটা বিশ্বাস করতে চাই, বা আমরা এটা হয়তো ভাবতে পারি যে, তারা ক্ষমতায় আসছেন।
ভবিষ্যৎ ক্ষমতাসীন দল হিসেবে এসময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে বিনয় প্রত্যাশা করেন প্রথম আলো। তিনি জানান, গণমাধ্যমের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় দল-মত নির্বিশেষে যে সংহতি দেখা গেছে, তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক যুগান্তরের আবদুল হাই শিকদার, নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, দৈনিক খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মারুফ কামাল খান, আজকের পত্রিকা সম্পাদক কামরুল হাসান, আমার দেশ নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, ডেইলি সান সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক খুরশিদ আলম, বাংলানিউজ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, ঢাকা মেইলের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল প্রমুখ অংশ নেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সদস্য শাম্মী আক্তার, মোর্শেদ হাসান খান, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, ব্যারিস্টার আবু সায়েম, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৯:৫৩ ১০ বার পঠিত