ইতিহাসের এই দিনে

প্রথম পাতা » অন্যান্য » ইতিহাসের এই দিনে
রবিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৮



---(বিশ্ব নারী নির্যাতন বিলোপ দিবস)
দিবস হিসেবে এটি একেবারেই নতুন । ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গৃহীত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ নভেম্বরকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিলোপ দিবস ঘোষণা করে । নারী নির্যাতন সমস্যা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার সমূহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও কে কাজ করার আহবান জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ দিবসটি ঘোষণা করে । নারী আন্দোলনকারীরা ১৯৮১ থেকে এ দিনকে স্মরণ করে আসছে। ১৯৬১ সালের এ দিনে ডেমিনিকা প্রজাতন্ত্রের তিন নারী নেতা সেদেশের তৎকালীন শাসক রাফায়েল ক্রুজিলোর নির্দেশে আততায়ীর হাতে খুন হন। নারী নির্যাতনের এ দিনটিকে বিশ্ববাসীর কাছে স্মরণীয় করা ও এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ বিভিন্নপদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানানোই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য।

১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত নারী নির্যাতনের অবসান সংক্রান্ত ঘোষণা, নারী নির্যাতন যে মানবাধিকারের লংঘন ও নারীর প্রতি এক ধরনের বৈষম্য তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। তার আগে ১৯৯০র প্রথম পর্যন্ত নারী নির্যাতন বিরোধী আন্তর্জাতিক কার্যক্রম ছিলো পরিবার কেন্দ্রীক। পরবতীতে সর্বত্র নারী সমতার দাবী উত্থাপনের প্রেক্ষিতে নারী নির্যাতন বিষয়টির ব্যাপকতা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্বনারী সম্মেলনে গৃহীত প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনে যে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ দুশ্চিন্তার ক্ষেত্রের প্রতি সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সুশীল সমাজের বিশেষ মনোযোগের প্রয়োজন বলে উল্লেখ রা হয়, নারী নির্যাতন তার অন্যতম। ১৯৯৮ সালে নারীর মর্যাদা সংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিশনের ৪২তম অধিবেশনে সকল প্রাসঙ্গিক নীতি ও কর্মসূচিতে লিঙ্গ প্রেক্ষিতকে মূল ধারাভুক্ত করাসহ নারী নির্যাতনের অবসানে সদস্য দেশসমূহ ও আন্তর্জাতিক সমাজের আরো কর্মব্যবস্থা ও উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অধিবেশনের সম্মত উপসংহারের মধ্যে বেসরকারী সংস্থার কাজে সমর্থন দান, নারী ও মেয়েদের সকল ধরনের পাচাররোধ, অভিযানকারী শ্রমিক, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অধিকার এগিয়ে নেয়া ও রক্ষা করা এবং নারী নির্যাতন সম্পর্কে সমন্বিত গবেষণাকে উৎসাহিত করার ব্যবস্থাবলী অন্তর্ভুক্ত।

১৮৮০ খ্রীস্টাব্দের ২৫শে নভেম্বর ফরাসী বিজ্ঞানী লাভরান ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিস্কার করেন। তিনি এই রোগের কারণ আবিস্কার করার ফলে এর প্রতিষেধক আবিস্কার করা সম্ভব হয়। ড. লাভরান চিকিৎসা ক্ষেত্রে সফলতার কারণে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।

১৯১৮ খ্রীস্টাব্দের এই দিনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ড দখলকারী দেশগুলো অর্থাৎ রাশিয়া, জার্মানী ও অষ্ট্রিয়া পরাজিত হওয়ার পর পোল্যান্ড আবারও স্বাধীনতা লাভ করে। বিগত শতাব্দীগুলোতে এই দেশটি বহুবার বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে আগ্রাসন ও জবর দখলের শিকার হয়েছে। ১৭৯৫ সালে রাশিয়া, প্রুশিয়া ও অষ্ট্রিয়া পোল্যান্ড দখল করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছিল। অবশ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ড আবারও জার্মানীর দখলে চলে যায়। কিন্তু ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পোল্যান্ড জার্মানীর দখলমুক্ত হলেও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশটিতে প্রভাব বিস্তার করায় সেখানে কমিউনিষ্ট শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮০র দশকের শেষ পর্যন্ত এ শাসন ব্যবস্থা চলতে থাকে এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়ার পর পোল্যান্ডেও কমিউনিষ্ট শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটে। চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, জার্মানী, লিথুনিয়া, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে দেশটির সীমান্ত রয়েছে।

১৯৭৫ সালের ২৫শে নভেম্বর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনাম হল্যান্ডের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৬ শতাব্দীর প্রথম দিকে সুরিনাম প্রথমবারের মত বৃটিশ উপনিবেশবাদীদের কবলে আসে। কিন্তু বৃটিশরা ১৭ শতাব্দীর প্রথম দিকে এক সমঝোতার মাধ্যমে সুরিনামকে হল্যান্ডের কাছে ন্যাস্ত করে। এরপর ১৯৫৪ সালে সুরিনাম স্বায়ত্ব শাসন লাভ করলেও ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে পুরোপুরি স্বাধীনতা লাভ করে। সুরিনামে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

ফার্সী ১৩৫৭ সালের এই দিনে ইরানের খ্যাতনামা ফকিহ ও বিপ্লবী আলেম আয়াতুল্লাহ গারাভি পরলোক গমন করেন। তিনি প্রাথমিক পড়ালেখা শেষ করে ধর্মীয় বিষয়ে আরো উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য ইরাকের নাজাফে যান। সেখানে তিনি তৎকালীন সময়ের খ্যাতনামা আলেমদের তত্ত্বাবধানে থেকে শিক্ষা অর্জন করেন। আয়াতুল্লাহ গারাভি পড়ালেখা শেষ করে বহু যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্র গড়ে তোলেন যারা পরবর্তীতে ইরানের স্বৈরাচারী শাহ বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

ফার্সী ১৩৫৮ সালের এই দিনে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের স্থপতি মরহুম ইমাম খোমেনী(র:) এর এক নির্দেশে ২ কোটি সদস্যের বিশাল স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী করা হয়। অত্যন্ত পরিশ্রমী, আত্মত্যাগী ও ইমানদার এই স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী ইসলামী বিপ্লবের সর্বক্ষেত্রে বিশেষ করে ইরাকের চাপিয়ে দেয়া প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন বর্তমানেও ইরানের সামরিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে।

হিজরী ১৩২৯ সালের এই দিনে ইরানের খ্যাতনামা ক্যালিওগ্রাফার ওস্তাদ মিরখনি ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। প্রাথমিক লেখপড়া শেষ করে তিনি খ্যাতনামা শিক্ষকদের কাছে সুলেখন বা ক্যালিওগাফি লেখার পদ্ধতি শিক্ষা গ্রহণ করেন। অসাধারণ প্রতিভাগুনে তিনি খুব দ্রুত এ শিল্পে পারদর্শীতা অর্জন করেন এবং শিক্ষা দান শুরু করেন। মিরখনি নাস্তালিক পদ্ধতিতে ক্যালিওগ্রাফি লেখায় সবচেয়ে পটু ছিলেন এবং একই সাথে তিনি ৬০টিরও বেশী গ্রন্থ ক্যালিওগ্রাফের ষ্টাইলে লেখেন। এর মধ্যে সাদি ও হাফিজের গ্রন্থ সামগ্রীর কথা উল্লেখ করা যায়।

হিজরী ৭২২ সালের এই দিনে ইরানের খ্যাতনামা ফকিহ, মোফাস্সেরে কোরআন, লেখক ও সাহিত্যিক মাসুদ বিন ওমর তাফতাযানি উত্তর পূর্ব ইরানের কাচান শহরের উপকণ্ঠে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি জ্ঞানার্জনের জন্য তার জীবনের অনেকটা সময় খোরাসান ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে সফর করেন। তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকেই গ্রন্থ রচনা শুরু করেন এবং তার লেখা অনেক বই বিভিন্ন ধর্মতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে আজও ব্যবহৃত হয়। আল মোতাব্বাল, আল এরশাদ এবং মোখতাসারুল মাআনি তার অন্যতম মূল্যবান গ্রন্থ। তিনি তার জীবনের শেষ ২০টি বছর বর্তমান উজবেকিস্তানের পূর্বে অবস্থিত সামারকান্দ শহরের তৎকালীন খ্যাতনামা বাদশাহ আমির তৈমুরের আহ্বানে সেখানেই অবস্থান করেন এবং সেখানে বহু যোগ্যতা সম্পন্ন ছাত্র গড়ে তোলেন। আল্লামা তাফতাযানি হিজরী ৭৯২ সালে ঐ শহরেই ইন্তেকাল করেন।

ভারত থেকে পর্তুগিজ নৌবহরের সৈন্য অপসারণ (১৫৩৮)
জেনারেল হেস্টিংসের উপস্থিতিতে কলকাতার বিখ্যাত চৌরঙ্গ থিয়েটার উদ্বোধন (১৮১৩)
সিপাহী বিদ্রোহ দমনকারী ব্রিটিশ সেনা অফিসার স্যার হেনরি হ্যাভলকের মৃত্যু (১৮৫৭)
মিশরের খতিবের কাছ থেকে ব্রিটেনের সুয়েজ খালের ৪৪ শতাংশ ক্রয় (১৮৭৫)
জার্মান ও জাপানের কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল বিরোধী চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৩৬)
জাতিসংঘের তৃতীয় মহাসচিব উথান্টের মৃত্যু (১৯৭৪)
সুরিনাম (ওলন্দাজ গায়না)’র ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি (১৯৭৫)
চেক পার্লামেন্ট চেক-যুক্তরাষ্ট্র বিভাজন বিল অনুমোদন (১৯৯২)

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪১:১০   ৫৬০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অন্যান্য’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
আল কোরআন ও আল হাদিস
আল কোরআন ও আল হাদিস
আল কোরআন ও আল হাদিস
শিল্প-কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে সরকার - শিল্পমন্ত্রী
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
আল কোরআন ও আল হাদিস
সময়াবদ্ধ গৃহীত পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে - শিল্পমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি

আর্কাইভ