
মহেন্দ্রক্ষণের আর কয়েক ঘন্টা মাত্র৷ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বহু নেতাই পোঁছে গিয়েছেন কলকাতায়৷ এদিন সকালেও এসেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, জিগনেশ মেভানি, হরর্দিক প্যাটেলরা৷ ব্রিগেড মুখী জনতাও৷ দিল্লিতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই ব্রিগেড গুরুত্বপূর্ণ৷ তাৎপর্যবাহী রাজ্যের শাসক দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের নিরীখেও৷
ব্রিগেডকে সফল করতে এদিন সামাজিক মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, আর কয়েক ঘন্টা বাদেই শুরু ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ব়্যালি৷ সকল জাতীয় স্তরের নেতৃত্ব, তৃণমূল কর্মী ও সাধারণ মানুষকে স্বাগত৷ শক্তিশালী, উন্নয়নমুখী ও অখণ্ড ভারতের লক্ষ্যেই হবে এই ব়্যালি৷
মোদী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে এক করে দিল্লি দখলই যে মমতার লক্ষ্য এদিনের ট্যুইট থেকেই তা স্পষ্ট৷
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এই ব্রিগেড ঐতিহাসিক হতে চলেছে৷ এদিনের সঙ্গে তিনি তুলনা টেনেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা জ্যোতিবাবুর ব্রিগেড সমাবেশের৷ রাজ্যের শাসক শিবির মনে করচে তৃণমূলের শক্তি বাংলায় সীমিত হলেও এদিন প্রমাণ হবে সারা দেশে বিজেপি-বিরোধী রাজনীতির মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
নোট বাতিল, জিএসটি, এনআরসি-র মতো ইস্যুতে সবার প্রথম তৃণমূল সুপ্রিমোই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। মমতাকে সমর্থন জানান বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ রাজনৈতিক মহল বলছে, সঙ্গত কারণেই দেশের তাবড় বিরোধী নেতারা আজ মমতাকে সামনে রেখেই উনিশের ভোটযুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছেন। মমতার একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলার সারমর্ম বুঝেছেন বিরোধীরা৷
রাজনৈতির মহলের ব্যাখ্যা বিরোধী জোট গড়তে গত ২ বছরে দেশজুড়ে নানান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা৷ তার নির্যাস এদিনের ব্রিগেডে দেখা যাবে৷ বিরোধী দলের মধ্যে জোটের অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছেন মমতা। শনিবার, তাঁর মঞ্চেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কুমার স্বামী, চন্দ্রবাবু নাইডুদের মতো মুখ্যমন্ত্রী৷ ৬ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রভাবশালী নেতাদের দেখা মিলবে৷
মমতার ভাবমূর্তি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। মানুষ তাঁর ডাকে সাড়া দেয়৷ বিগত সব নির্বাচনেই তার প্রমাণ মিলেছে৷ সব দিক বিচার করে তাই ঐতিহাসিক ব্রিগেডের অপেক্ষায় দেশ৷ যার কাণ্ডারী তৃণমূল সুপ্রিমো৷
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৫:০০ ২১৮ বার পঠিত