
গোটা দেশকে চমক দিতেই ব্রিগেডের অতিথি বাছাই করেছেন মমতা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া কিংবা শরদ পাওয়ারদের মত বর্ষীয়ান রাজনেতিক ব্যক্তিত্বদের পাশে হার্দিক প্যাটেল কিংবা জিগনেশ মেভানি হয়ত নিতান্তই নবীন। তবু মোদীকে বার্তা দিতে এদের মত অস্ত্রকে হাতছাড়া করতে পারেননি তৃণমূলনেত্রী। তাই সভার শুরুতেই বক্তব্য রাখতে দেওয়া হল হার্দিককে।
গুজরাতে বিজেপি সরকারকে রীতিমত চাপে ফেলে দিয়েছিলেন এই হার্দিক প্যাটেল। পাতিদার সংরক্ষণের দাবিতে অনশনেও বসেছিলেন তিনি। গুজরাতের মোদী-বিরোধী এই নেতাকে দিয়েই তাই সভা শুরু করলেন মমতা।
মোদী সরকারকে চোর ও গুণ্ডা বলে সম্বোধন করে হার্দিক বলেন, গুন্ডাদের দেশ থেকে তাড়াতে হবে। তার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এদিনের সভা থেকে হার্দিক স্লোগান দেন, ‘সুভাষবাবু লড়ে থে গোরো সে/ হাম লড়েঙ্গে চোরো সে।’ অল্প সময়ের বক্তব্যেই দিল্লি পর্যন্ত বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ডাক দিয়ে যান তিনি।
হার্দিকের পরই এদিন মহাজোটের দ্বিতীয় মুখ ছিলেন জিগনেশ মেভানি। দলিতদের জন্য লড়াই করে শিরোনামে থাকা জিগনেশ বর্তমানে গুজরাতের বিধায়কও। বাংলায় এসে এদিন তিনি বলেন, গণতন্ত্রের উপর বারবার আক্রমণ হচ্ছে। মানুষ বিচার চায়। ফেডেরাল ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে কৃষকদের আত্মহত্যা কমবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ”ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্র আক্রান্ত। গত সাড়ে চার বছর ধরে দেখছি কৃষক, দলিত, সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত। দেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে একজোট হতে হবে। মমতা দিদি সেই কাজ শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৯:৪১ ২০৮ বার পঠিত