রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান খাত নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি কার্যকরী মাধ্যম।
তিনি ‘জাতীয় আয়কর দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস পালিত হতে যাচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দিবসটির প্রাক্কালে সকল সম্মানিত করদাতা এবং কর বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
পৃথিবীর সকল উন্নত রাষ্ট্রে প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর রাজস্ব আয়ের প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয় উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১’র পথ ধরে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এসব উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা এবং আয়করখাতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি বলেন,আয়কর নিয়ে সচেতনতার অভাবে দেশের জনগণের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করে। আয়কর সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়কর বিভাগ বিগত বছরসমূহে জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন, আয়কর মেলা ও আয়কর সপ্তাহ আয়োজনসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া আয়কর প্রদানকারীগণকে ট্যাক্স কার্ড, পুরস্কার ও স্বীকৃতি প্রদানের ফলে জনগণ আয়কর প্রদানে আরো উৎসাহিত হবে বলেও তিনি মনে করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবছর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে ১৬১টি ভেন্যুতে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা আয়োজন করেছে। এছাড়া ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর সারাদেশে সকল কর অফিসে পালিত হয়েছে আয়কর সপ্তাহ। সৎ করদাতাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এবার ১৪১ জন দীর্ঘমেয়াদী করদাতাসহ সারাদেশে ৫১৭ জন সর্বোচ্চ করদাতাকে সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড প্রদান, দীর্ঘ সময় ধরে কর প্রদানকারী ৮৪ পরিবারকে ‘কর বাহাদুর’ পরিবার সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্মানিত করদাতাগণকে সেবা প্রদানের জন্যে আয়কর বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত এসব কর্মসূচি মূলত জনসেবারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট থাকারও আহবান জানান।
তিনি জাতীয় আয়কর দিবস ২০১৭’র সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৩:১১ ৫৩২ বার পঠিত