গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চতুর্থ শ্রেণির বেতন স্কেলের সমপরিমাণ বেতন প্রদানের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার, অর্থ, জন প্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ৩২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, ব্রিটিশ আমল থেকে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বিধিতে তাদের চাকরির কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।
আইনজীবী জানান, ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত তারা না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
হুমায়ুন কবির পল্লব জানান, সারাদেশে ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশ গ্রাম পাহারা দেয়াসহ রাত দিন ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পালন করেন। তাদের বেতন মাত্র তিন হাজার টাকা। বর্তমান সময়ে একজন ভিক্ষুকও দৈনিক ৩০০ টাকা আয় করে। অথচ একজন গ্রাম পুলিশের দৈনিক বেতন মাত্র ১০০ টাকা। যা খুবই অমানবিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:৫০ ১৩২৯ বার পঠিত