মার্চ মাসের শেষে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য ক্ষেত্রে এমওইউ স্বাক্ষর করা হবে - বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » মার্চ মাসের শেষে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য ক্ষেত্রে এমওইউ স্বাক্ষর করা হবে - বাণিজ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯



---

বাণিজ্য ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশ একটি এমওইউ স্বাক্ষরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আগামী মার্চ মাসের শেষে বাণিজ্য ক্ষেত্রে এই এমওইউ স্বাক্ষর করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আজ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাতভ-এর সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার সহযোগিতা ভুলে যাবার নয়। বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কিছু জটিলতার কারনে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার বাণিজ্য আশানরূপ বৃদ্ধি পায়নি।
সে কারণেই রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশ একটি এমওইউ স্বাক্ষরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী মার্চ মাসের শেষে বাণিজ্য ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে এই এমওইউ স্বাক্ষর করা হবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেল চালু হবে। বাণিজ্যের জন্য বাজার উন্মুক্ত হবে। তখন আর কোন বাণিজ্য জটিলতা থাকবে না।
রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সি-ফুড, আলু, ঔষধ প্রভৃতি পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশে রাশিয়ার অনেক বিনিয়োগ আছে। আগামী মার্চ মাসে উভয় দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হলে সকল বাণিজ্য জটিলতা দূর হবে। রাশিয়া বাংলাদেশের জন্য বড় রপ্তানি বাজার। রাশিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সি-ফুড, আলু, ঔষধসহ অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
রাশিয়া এগুলো বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমওইউ স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি পাবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সর্ম্পক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
বাণিজ্যমন্ত্রী পরে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারউউজ-এর সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাজার। গত অর্থ বছরে নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ছিল ১২০৫.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, একই সময়ে আমদানি হয়েছে ২৩১.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১০:৩৩   ১৯১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


শিল্প-কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে সরকার - শিল্পমন্ত্রী
সময়াবদ্ধ গৃহীত পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে - শিল্পমন্ত্রী
সাবরং ট্যুরিজম পার্কে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ হবে
বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় পাকিস্তান
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির প্রবণতা কমে গেছে - অর্থমন্ত্রী
দেশে বর্তমানে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ঋণখেলাপি - অর্থমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে কমিটি করা হয়েছে - বাণিজ্যমন্ত্রী
প্লাস্টিক পণ্যে সরকারি সহায়তা বাড়ানোর আশ্বাস বাণিজ্যমন্ত্রীর
কিশোরগঞ্জে মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল ১৪ বস্তা টাকা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নিয়োগ দিচ্ছে

আর্কাইভ