
পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে ঢুকে ভারতীয় বিমান বাহিনী মঙ্গলবার যে হামলা চালিয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য দেশের মানুষকে জানানো হোক বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
ভারতের সরকার বলেছে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকার বালাকোটে বিমান থেকে বোমা ফেলে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে জঙ্গি সংগঠন জৈশ এ মুহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির। তবে কতজন কথিত জৈশ জঙ্গি ওই হামলায় মারা গেছেন, তা ভারত সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় নি।
বিমান বাহিনী শুধু সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে যে জৈশ এ মুহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরের ওপরে ওই হামলায় অনেক জঙ্গি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে সিনিয়র কমান্ডার ও প্রশিক্ষকরাও ছিলেন।
ওই শিবির পরিচালনা করতেন জৈশ এ মুহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক, এটাও বলেছে ভারতের বিমান বাহিনী।
পাকিস্তানের সরকার প্রথম থেকেই বলছে, কোনো জঙ্গি আস্তানাই সেখানে ছিল না। ফাঁকা জায়গায় কিছু বোমা ফেলে গেছে ভারতীয় বিমান। একজনও তাতে মারা যায়নি।
আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমও ওই অঞ্চল সফর করে এসে বলেছে যে ভারতীয় বিমান থেকে ফেলা বোমাগুলো কোনো টার্গেটে পড়েনি, বিশেষ কোনও ক্ষতি হয়নি ওই এলাকার।
ওইসব প্রতিবেদনের সূত্রেই মমতা ব্যানার্জী এখন বালাকোট হামলার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি বলেন, “এয়ার স্ট্রাইকে কতজন মারা গেছে, কারা মারা গেছে, আসল ঘটনা কী, বিস্তারিত আমরা কিছুই জানি না। এইসব তথ্য তো দেশবাসী জানতেই পারে।”
“কত কী বলা হচ্ছে, তিনশো, সাড়ে তিনশো লোক মারা গেছে! আমরা জানতে চাই সত্যি কত লোক মারা গেছে, বা আদৌ কেউ মারা গেছে কিনা। বোমটা কোথায় ফেলা হয়েছিল, আদৌ সেটা ঠিক জায়গায় পড়েছিল কিনা?”
তিনি বলেন, দেশের পক্ষে সকলেই আছে, কিন্তু জওয়ানদের রক্ত নিয়ে কেউ রাজনীতি করবে, এটা তিনি মেনে নিতে পারবেন না।
কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দলগুলিই কয়েকদিন ধরে অভিযোগ করছে যে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা আর তারপরে বালাকোটে বিমান হানা এবং তার পাল্টা পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর ভারতে বোমাবর্ষণ - গোটা ঘটনা নিয়ে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদী রাজনীতি করছেন ভোটের দিকে তাকিয়ে।
মিজ ব্যানার্জী বলছেন, “রাজনীতির প্রয়োজনে আমরা যুদ্ধ চাই না। দেশের প্রয়োজনে যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে আমরা দেশের সাথে আছি। কিন্তু একটা নির্বাচনে জেতার জন্য আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।”
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৬:৩০ ১৫৫ বার পঠিত