
জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে অবশেষে ফেরিয়ে দিল পাকিস্তান৷ অভিনন্দনকে সড়কপথে লাহৌর হয়ে ভারতে আনে পাক প্রশাসন৷ প্রথমে ওয়াঘা সীমান্তে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়৷ সেখানে তাঁর বাবা ও মা উপস্থিত ছিলেন৷
অভিনন্দনের দেশে ফেরার খবরে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ট্যুইট বার্তায় মমতা জানান, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে৷ অভিনন্দনকে স্বাগত৷
যদিও খুব সহজ ছিল না উইং কমান্ডরের দেশে ফেরা৷ তাঁর ফেরা নিয়ে যথেষ্ট বিলম্ব হয়েছে বলেও অভিযোগ শানিয়েছে ভারত৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিবৃতি বদলেরও অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের তরফে৷ তাঁকে সড়কপথে ভারতে ফেরানো নিয়েও দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়৷ ভারতের দাবি ছিল অভিনন্দনকে বিমানে ভারতে আনার৷ যদিও পাকিস্তান ভারতের এই শর্ত না মেনে সড়কপথে ইসলামাবাদ থেকে লাহৌর হয়ে ওয়াঘা সীমান্তে আনে৷ সেখান থেকে বিমানে দিল্লি যাওয়া কথা তাঁর৷
মিগ-২১ নিয়ে হামলা চালানো সময় পাক সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায় অভিনন্দন৷ পাকিস্তানের তরফে গোলাগুলির জন্য বিমানটি ধ্বংস হয়ে যায়৷ প্যারাসুটে করে নেমে আসেন অভিনন্দন৷ সেখানে পাকিস্তানী সেনাদের অধীনে ৩ দিন থাকার পর দেশে ফিরলেন অভিনন্দন। জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী ইমরান সরকারকে ফিরিয়ে দিত হল অভিনন্নদনকে৷
যদিও এর আগে কার্গিলের সময়ও সচিনকেও ফিরিয়েছিল পাক সরকার৷ তবে সেসময় সচিনের ওপর যথেষ্ট অত্যাচার হয়েছিল বলেই দাবি উঠেছিল৷ সেক্ষেত্রে অভিনন্দনকে কতটা অত্যাচারিত হতে হয়েছে পাক সেনাবাহিনীর কাছে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি৷
এদিকে অভিনন্দনের ফেরার আনন্দে গোটা দেশেই উৎসবের আমেজ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর ফেরার আনন্দে গর্ব করে বলেন, অভিনন্দন দেশের গর্ব৷
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৯:১৩ ১৪৯ বার পঠিত