
বিজেপির নৌকা ডুবন্ত। আর সেটাই তুলে আনতে অক্সিজেন জোগানোর চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সকালে মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের পর এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে নাকি মোদীর ভাষণের কথা শুনে রীতিমত চমকে গিয়েছিলেন তিনি।
এদিন নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের পর তিনি বলেন, ‘মোদী ভাষণ দেবেন শুনে কত কিছু ভাবতে শুরু করেছিলাম। একবার ভাবলাম, উনি বোধহয় আর ভোটে দাঁড়াবেন না। একবার ভাবলাম উনি বোধহয় বলবেন, জিতে আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না।’ কিন্তু শেষমেশ মোদীর ভাষণ শুনে তিনি বুঝেছেন, ‘ফাঁকা কলসীর আওয়াজ বেশি।’
ভাষণের কিছুক্ষণ আগেই ভাষণ দেওয়ার কথা বলেছিলেন মোদী। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘২ ঘণ্টা ফালতু পাবলিসিটি হল। মনে হল যেন ঝড় আসছে। পর দেখলাম একটা মেঘও দেখা গেল না।’
নির্বাচনের আগে বিজ্ঞানীদের কৃতিত্বের ভাগ নিয়ে আত্মপ্রচারে মোদী ব্যস্ত বলেই উল্লেখ করেছেন মমতা৷ ট্যুইটারে তীব্র ভাষায় মোদীর কড়া সমালোচনা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, মহাকাশ গবেষণা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বহু বছর ধরেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা আন্তর্জাতিক মানের। তবে বরাবরের মতো সব কৃতিত্ব নিতে চেয়েছেন মোদী। আসল কৃতিত্ব বিজ্ঞানী-গবেষকদের। এই ঘোষণা মোদীর চূড়ান্ত নাটকীয়তার উদাহরণ। ভোটের আগে আত্মপ্রচারে ব্যস্ত মোদী। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই মোদীর এই ঘোষণা বলে দাবি মমতার।
একইসঙ্গে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই ঘোষণা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। কমিশনে এর বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ জানাচ্ছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতই অন্যান্য বিরোধীরাও মোদীর বিরুদ্ধে অহেতুক নাটকীয়তার অভিযোগ তুলেছেন। রাহুল গান্ধী ট্যুইটারে ব্যঙ্গ করে ‘ওয়ার্ল্ড থিয়েটার ডে’ উইশ করেছেন মোদীকে। কমিশনে চিঠি লিখেছেন সীতারাম ইয়েচুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:২১:৪১ ১৮০ বার পঠিত