
‘২০০৯ সালের মতো ২০১৯ সালেও বাঁকুড়া থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ‘শূণ্য’ হাতে ফিরে যাবেন’। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার বিজেপির তরফে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির তরফে এই কেন্দ্রে তাঁর নাম ঘোষণার পর প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এবার আমাদের সংগঠন মজবুত হয়েছে। ২০১৪ সালে ‘তৃণমূল ভোট লুঠ’ করার সুযোগ পেয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, এবার সেই সুযোগ ওরা পাবেনা। প্রত্যেকটি বুথেই আমাদের কর্মীরা তৈরী আছেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ দেখতে পাচ্ছেন তৃণমূলের রাজত্বে মানুষের কাছে ওদের স্বরূপ প্রকাশ পেয়েছে। গ্রাম-শহরে সমানভাবে ‘সিণ্ডিকেট রাজ’ কায়েম হয়েছে দাবি করে তিনি জানান, তৃণমূলের উপর বিতৃষ্ণা আর বিজেপির উপর বিশ্বাসই তাকে এবার এই কেন্দ্রে জয়ী হতে সাহায্য করবে বলে তিনি মনে করছেন। বিগত সাত বার সিপিএমের বাসুদেব আচারিয়া ও অষ্টম বার তৃণমূলের মুনমুন সেন দু’জনই বাঁকুড়ার বাইরের মানুষ, সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রয়োজনে মানুষ তাদের কাছে পেতেন না। এবার বাঁকুড়ার মানুষ জেলার কাওকে সাংসদ হিসেবে চাইছেন, বিজেপিকে চাইছেন।
২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি হেরে যান। এবার দু’জন হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দিতার আসরে। এই প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এবার নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সুভাষ সরকার বলেন, বিজেপি এই রাজ্যে নিজেকেই ‘হেভিওয়েট’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি কোনও ম্যাটার করেনা’। তুলনামূলকভাবে দেরিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেও কোন সমস্যা হবেনা জানিয়ে বলেন, সংগঠনগতভাবে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা যেখানে প্রার্থী দিতে পেরেছি সেখানেই ভালো হয়েছে। যদি পুরো লোকসভা এলাকায় প্রার্থী দেওয়া যেত তাহলে পঞ্চায়েত ভোটেই নির্ণয় হয়ে যেত লোকসভা ভোটের ফলাফল। তিনি এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হলে কৃষি, সেচ ব্যবস্থা, পানীয় জল, নদী ভাঙ্গন রোধ, রেল পরিষেবার উন্নতি ও শিল্প তৈরীর কাজ করবেন জানিয়ে তিনি প্রচারে জোর দেবেন বলে জানান।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উন্নতি সাধনে কেন্দ্র ১৫০ কোটি টাকা দিলেও তা খরচ হয়নি দাবি করে বিজেপি জিতলে এই জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে কেন্দ্রে ফের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ‘ভ্রষ্টাচার মুক্ত’, স্থায়ী সরকার গঠনের পাশাপাশি বাঁকুড়া কেন্দ্রে নিজের জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী বলে ডাঃ সুভাষ সরকার জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩০:২৭ ২০৯ বার পঠিত