
আজ প্রথম দফার নির্বাচন৷ কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে চলছে ভোটগ্রহণ৷ সকাল ৭টায় ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই কোচবিহারের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর ছড়িয়েছে৷ কিছু জায়গায় ইভিএম খারাপের খবর এসেছে৷ আর এই ইভিএম খারাপের অভিযোগ তুলেই কোচবিহারের দুটি বুথে এবার পুননির্বাচন দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ কোচবিহারের দুটি বুথ ১০৫ ও ২২৯ নম্বর বুথে পুননির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে৷
রবিবাবুর অভিযোগ, ১০৫ নম্বর বুথে ২৮০০টি ভোট হওয়ার পর সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার বলেন সেই ইভিএমটি খারাপ৷ তবে আগে যেই ভোট গুলি পড়ল তার ভবিষ্যত কি? তাই এই বুথে পুননির্বাচন করতে হবে৷ পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, দিনহাটা বিধানসফভা কেন্দ্রের ২২৯ নম্বর বুথে যে প্রথমে মকপোল হয়েছিল তা ডিলিট না করেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ৷ আমাদের পোলিং এজেন্টরা বারবার সে কথা প্রিসাইডিং অফিসারকে প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও কানে তোলনি তারা৷ তাই এই বুথটিতেও পুনর্নিবাচনের দাবি জানিয়েছি৷
শুধু তাই নয়, ভোট দিতে গেলে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ৷ তাঁর দাবি, ‘‘আমি যখন ভোট কেন্দ্রে ঢুকি আমার সঙ্গে সঙ্গে দুজন সিআরপিএফ জওয়ান আসে৷ কিন্তু তাদের ভোটকেন্দ্রে ঢোকার কোনও পারমিশন নেই৷ একথা বলার পরও তারা ঘরের বাইরে যায়নি৷’’ রবিবাবু এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আমার মত ভোটারকে এই ধরণের হেনস্থা হতে হলে, সাধারণ মানুষকে কতটা হেনস্থা হতে হবে৷
এরপরেই পুরো বিষয়টি ফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। পুরো ঘটনা নেত্রীকে জানানো হয়েছে বলে জানান কোচবিহারের তৃণমূলের সেনাধিপতি।
তবে পুননির্বাচনের দাবি ইদানংকালে শাসকদলের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের৷ তাদের মতে, ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের মুখে শোনা যায়নি পুননির্বাচনের কথা৷ এদিনের ভোটেই প্রথম বাংলার শাসকদলের নেতার মুখে শোনা গেল এই বিরল দাবি৷
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২০:২৩ ১৯১ বার পঠিত