ইসরায়েল বিরোধী পক্ষপাতমূলক’ আচরণের অভিযোগ এনে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। খবর বিবিসির।
সিরিয়ার পালমিরা, যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানগুলোকে চিহ্নিত করে ইউনেসকো।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট বলেছেন, তারা এখন থেকে ইউনেসকোর প্রতিনিধিত্বের পরিবর্তে ‘অসদস্য পর্যবেক্ষণ রাষ্ট্র’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউনেসকোর আর্থিক বকেয়া নিয়েও উদ্বিগ্ন এবং তারা মনে করেন সংস্থাটির সংস্কার হওয়া জরুরি।
ইউনেসকো প্রধান ইরিনা বকোভা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার করার বিষয়টি ‘খুবই দুঃখজনক’। জাতিসংঘ পরিবার ও জোটবদ্ধতায় এটি ক্ষতিকর।
২০১১ সালে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য পদ দেয় ইউনেসকো। তাদের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। সংস্থাটিকে অনুদান দেয়াও বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
গত বছর জেরুজালেম নিয়ে ইউনেসকোর একটি প্রস্তাব পাস হওয়ার পর ইসরায়েল সংস্থাটিকে সহযোগিতা করা বন্ধ করে দেয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে পশ্চিম তীরের পুরাতন হেব্রন শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করায় ইউনেসকোর নিন্দা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন জানিয়েছে, টাকা বাঁচাতেই যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ২২ শতাংশ এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা খাতে ২৮ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২৩:০৫ ২৮৩ বার পঠিত