
হুগলি ও নদিয়া জেলার পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ইতিমধ্যেই তৃণমূল ভবনে সেই বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে৷
লোকসভা ভোটে বড়সড় ধাক্কা খাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে চাঙ্গা করতে নিয়ম করেপ্রত্যেক সপ্তাহের শুক্রবার জেলাওয়াড়ি বৈঠক করছেন তিনি৷ আজ, তৃণমূল ভবনে পশ্চিম মেদিনীপুরের গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান, শাসকদলের অঞ্চল সভাপতি, ব্লক ওপুরসভার সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি, পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, বিধায়ক ও সাংসদদেরও এইবৈঠকে ডাকা হয়েছে।
জেলার প্রায় কয়েকশো ছোট-বড় নেতা এই বৈঠকে হাজির রয়েছে। বৈঠকে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে মানস ভুইয়া, ঘাটালের সাংসদ দেব ও মুকুল রায় ঘনিষ্টকেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহার৷
লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুইয়াকে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে ৮৭ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরেছেন৷ একমাত্র খড়গপুর গ্রামীণ বিধানসভা বাদে অন্য কোনও বিধানসভাতে তৃণমূল জয়ী হতে পারেনি। খড়গপুর শহর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পিছিয়ে গিয়েছে ৪৫হাজারেরও বেশি ভোটে। মানস ভুইয়ার মত দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর হার তৃণমূলের কাছে নিসন্দেহে বড় ধাক্কা৷
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের এই পরাজয়ের নেপথ্যে ঠিক কি কি কারণ রয়েছে তা এতদিন চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছে দল। বুথভিত্তিক সমীক্ষার করার পরতৃণমূল নেত্রী এই বৈঠক ডেকেছেন। সূত্রের খবর, শুধু যে বামের ভোট রামে যাওয়ার জন্য মানস ভুঁইয়া হারেনি, তাঁর হারের পিছনে দলের গোষ্ঠীকোন্দও অন্যতম কারণ-সেটা তৃণমূলের অন্তর্তদন্তে স্পষ্ট৷ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের বৈঠকে মেদিনীপুর জেলার সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু রদবদলও করতে পারেন বলে জানা
যাচ্ছে৷
ইতিমধ্যে এই জেলায় দলের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরে পরেই তৃণমূল ছেড়ে বেশ কয়েকটিঅঞ্চলে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। এদিন নেত্রীর আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে দলের ভাঙন ঠেকানোও৷
বাংলাদেশ সময়: ২০:০০:৫০ ১২৩ বার পঠিত