উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে প্রণিত দশ বছর মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান হস্তান্তর করেছে এপিও

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে প্রণিত দশ বছর মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান হস্তান্তর করেছে এপিও
সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯



---

বাংলাদেশের শিল্প, সেবা, কৃষিসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) প্রণিত দশ বছর মেয়াদি ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্লান ২০২১-২০৩০’ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এপিও’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. শান্তি কানকতানাপন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের হাতে এটি তুলে দেন।
শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক এস.এম. আশরাফুজ্জামান।
এতে মাস্টার প্ল্যানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিঙ্গাপুরের উৎপাদনশীলতা কৌশল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. উন কিন চাং।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বিগত দশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার গৃহিত কর্মসূচির ফলে দেশের শিল্পখাত সুসংহত হয়েছে। মোট জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৫ দশমিক ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৩৩ দমমিক ৭১ শতাংশ।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রণিত এ মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলেও মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ হতে চলেছে। রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভিযাত্রা জোরদারে শিল্পসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। এ পরিকল্পনা প্রণয়নে সহযোগিতার জন্য তিনি জাপানভিত্তিক এপিও’র প্রশংসা করেন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে এনপিও এবং এপিও’র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এপিও’র সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দশবছর মেয়াদি মাস্টার প্লান প্রণয়নের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বেগবান হবে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, সেবাসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা জোরদার হবে। তিনি বাংলাদেশ সরকার গৃহিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রশংসা করেন এবং এপিও বাংলাদেশের উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, দশবছর ব্যাপী এ মাস্টার প্লানে বাংলাদেশের বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে তা উন্নয়নের কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের শ্রম উৎপাদনশীলতা ৩ দমমিক ৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। এক্ষেত্রে এপিও সদস্যভুক্ত এশিয়ার ২০টি দেশের গড় প্রবৃদ্ধি হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের গুণগতমান, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা সন্তেÍাষজনক পর্যায়ে উন্নীত হবে। এ মাস্টার প্লানে ২০২১-২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক গড় উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৬:০৬   ২১৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


শিল্প-কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে সরকার - শিল্পমন্ত্রী
সময়াবদ্ধ গৃহীত পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে - শিল্পমন্ত্রী
সাবরং ট্যুরিজম পার্কে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ হবে
বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় পাকিস্তান
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির প্রবণতা কমে গেছে - অর্থমন্ত্রী
দেশে বর্তমানে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ঋণখেলাপি - অর্থমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে কমিটি করা হয়েছে - বাণিজ্যমন্ত্রী
প্লাস্টিক পণ্যে সরকারি সহায়তা বাড়ানোর আশ্বাস বাণিজ্যমন্ত্রীর
কিশোরগঞ্জে মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল ১৪ বস্তা টাকা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নিয়োগ দিচ্ছে

আর্কাইভ