
সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। ভাস্কররা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরীর কাজ সেরে এখন করছেন রং তুলির কাজ। আগামী ৪ অক্টোবরের আগেই সকল কাজ সম্পন্ন করবে তারা।
যশোরের শার্শা উপজেলায় এবার ২৯ টি পূজা মণ্ডপে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব পালিত হচ্ছে। আগামী ৪ অক্টোবর মহা ষষ্টির মাধ্যমে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। মা দুর্গার এবার ঘোটকে আগমন আর গমনও করবেন ঘোটকে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মীয়দের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। শার্শা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জাকজমক ভাবে দুর্গাপূজা পালিত হয় বেনাপোল পাঠবাড়ী আশ্রমে। প্রতিবছর দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভক্তরা পাঠবাড়ী আশ্রমে আসেন দুর্গা মায়ের দর্শনে। তবে এবার ভক্তদের আকৃষ্ট করতে বেনাপোলের পুটখালী সার্বজনিন মন্দিরে মা দুর্গার সাথে ২১০ টি দেব দেবীর প্রতিমার মাধ্যমে সনাতন ধর্মের সৃষ্টির রহস্য তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তারা।
মহাভারতের বিভিন্ন উপাখ্যানের মন্থোন পঞ্চ পাণ্ডবের স্বর্গে গমন, রাম লক্ষণ সীতার বনবাস, চাদ সওদাগরের কাহিনীর সাথে এবার অস্টসখী নিয়ে কৃষনের নৌকা বিলাসের প্রতিকৃতি দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। ভাস্কররা তাদের রং তুলির ছোয়ায় প্রতিমা গুলিকে উজ্জল করে তুলছেন। এক এক জন ভাস্কর ৫ থেকে ৬ টি মন্দিরের প্রতিমা তৈরীর কাজ নিয়েছেন। রং তুলির কাজ সেরে সময় মতো প্রতিমা গুলিকে মন্দিরে তুলে দেয়ার জন্য ভাস্কররা রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার প্রতিটি পুজা মণ্ডপে সরকারি অনুদান দেয়া হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মণ্ডল জানান, এবার ২৯ টি পুজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব পালিত হবে। দুর্গোৎসব চলাকালে কোন মণ্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। টহলে থাকবে র্যাব ও পুলিশ।
অশুভ শক্তি ও অসুর শক্তি বিনাশে এবার দুর্গা মায়ের আগমন ঘটবে এমনটায় আশা করছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৩:২৭ ১৪৯ বার পঠিত