
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে আবারও মতিঝিলের রাস্তায় নেমেছে বিনিয়োগকারীরা।
মামলা-হামলার ভয় কাটিয়ে মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মতিঝিলের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন বিনিয়োগকারীরা।
মঙ্গলবারও দরপতনের মধ্যদিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। দুপুর ২টার দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক কমে ১১০ পয়েন্ট। যা অতীতের সব রেকর্ড ফেল করে।ঠিক তখনি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, বিএসইসির এই চেয়ারম্যানকে দায়িত্বে রেখে পুঁজিবাজার ভালো করা যাবে না। আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাই। সেই সঙ্গে পুরো কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
এর আগে সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে বিক্ষোভ করেছিলো বিনিয়োগকারীরা। তাদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি বন্ধ করতে গত বছরের ২৭ আগস্ট ডিএসইর পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
ডিএসইর পক্ষ থেকে এই সাধারণ ডায়েরি করা হলে বন্ধ হয়ে যায় বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ। তবে পুঁজিবাজারে চলতে থাকে দরপতন।দরপতনের ধারা সম্প্রতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
বাজার পরিস্থিতি
সোমবারের মত মঙ্গলবারও (১৪ জানুয়ারি) দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৮৭ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২৩৮ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি কমেছে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। আর তাতে ডিএসইর বিনিয়োগাকরীদের পুঁজি নেই অর্থাৎ মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৬৭৮ কোটি ৬৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। এর আগের দিনও কমেছিলো ৬ হাজার ১৮৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৬:৪২ ১৯০ বার পঠিত