নোটের গোঁজামিলে ৯ ব্যাংকে জরিমানা

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » নোটের গোঁজামিলে ৯ ব্যাংকে জরিমানা
বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০



---

টাকার বান্ডিলে অপ্রচলনযোগ্য ও ছেঁড়াফাটা নোট চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৯ বাণিজ্যিক ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে সোনালী, জনতা, পূবালী, যমুনা, ন্যাশনাল, প্রাইম, সাউথইস্ট, মার্কেন্টাইল ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংককে আড়াই লাখ এবং অন্য ব্যাংকগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গত ৩ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, আইনগত নানা দিক পরিপালনসহ বিভিন্ন কাজে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অর্থ জমা দেয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অর্থ জমা দেওয়ার জন্য যথাযথভাবে টাকার বান্ডিল করার নির্দেশনা রয়েছে। গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সার্কুলার জারি করে বান্ডিল করার নিয়ম জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে শাস্তির ঘোষণাও দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টিতে নোট জমাদানকালে পুনর্প্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য এবং মিউটিলেটেড-এ তিন ভাগে বিভক্ত করে জমা দিতে হবে। পুনর্প্রচলনযোগ্য নোটের সঙ্গে অপ্রচলনযোগ্য, মিউটিলেটেড ও দাবিযোগ্য নোট; অপ্রচলনযোগ্য নোটের সঙ্গে পুনর্প্রচলনযোগ্য, মিউটিলেটেড ও দাবিযোগ্য নোট এবং মিউটিলেটেড নোটের সঙ্গে পুনর্প্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য ও দাবিযোগ্য নোট যেন মিশ্রিত না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টিতে নোট জমাদানকালে বর্ণিত নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন না করলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর বিধান মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানিকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। নেগেটিভ পয়েন্টের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে অর্থদণ্ড আরোপ করা হবে এবং নেগেটিভ পয়েন্ট নির্ণয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।

এই নীতি পরিপালন না করায় ব্যাংকগুলোকে জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতে টাকার বান্ডিল করার সময় নিয়মনীতি সঠিকভাবে পরিপালনে সতর্ক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অপ্রচলনযোগ্য নোটের বৈশিষ্ট্য অত্যধিক ময়লাযুক্ত নোট, নোটের ওপর একাধিক সিল, দুইটির অধিক অনুস্বাক্ষর/স্বাক্ষর বা সংখ্যা, অপ্রয়োজনীয় লেখা বা দাগ, মরিচার চিহ্ন এবং নোটে অল্প রঙ লাগানো। মিউটিলেটেড নোট বলতে বোঝায় টেপযুক্ত নোট, দুই খণ্ডে খণ্ডিত নোট, কোন অংশ অনুপস্থিত এবং অনুপস্থিতির পরিমাণ নোটের আয়তনের ১০ শতাংশের কম।

আর দুই খণ্ডে খণ্ডিত নোট, নোটের কোনো অংশ অনুপস্থিত এবং অনুপস্থি’তির পরিমাণ নোটের আয়তনের ১০ শতাংশের বেশি, আগুনে পোড়া, ড্যাম্প নোট ও বেশি রঙ লাগানো নোটগুলো দাবিযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এর বাইরে নতুন-পুরনো সব নোটই প্রচলনযোগ্য হিসেবে বান্ডিল করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৮:১৪   ১৮৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


শিল্প-কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে সরকার - শিল্পমন্ত্রী
সময়াবদ্ধ গৃহীত পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে - শিল্পমন্ত্রী
সাবরং ট্যুরিজম পার্কে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ হবে
বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় পাকিস্তান
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির প্রবণতা কমে গেছে - অর্থমন্ত্রী
দেশে বর্তমানে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ঋণখেলাপি - অর্থমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে কমিটি করা হয়েছে - বাণিজ্যমন্ত্রী
প্লাস্টিক পণ্যে সরকারি সহায়তা বাড়ানোর আশ্বাস বাণিজ্যমন্ত্রীর
কিশোরগঞ্জে মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল ১৪ বস্তা টাকা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নিয়োগ দিচ্ছে

আর্কাইভ