
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের পেছনের জানালা ভেঙে পালিয়েছে এক হাজতি।
রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে কর্তব্যরত নার্স ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে রোগী পালানোর বিষয়টি টের পান বলে জানা গেছে।
পলাতক হাজতির নাম মো. সুজন ওরফে শাকিল। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর কাজীপাড়া গ্রামের মল্লিকের ছেলে।
তিনি কোতোয়ালি থানার একটি নারী নির্যাতন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। শাকিল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। সর্দি-জ্বর, কাশি ও গলায় ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ায় তাকে শুক্রবার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পলাতক হাজতির গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার আসামি মো. সুজন ওরফে শাকিলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার সর্দি-কাশি, জ্বর ও গলায় ব্যথা ছিল। এ জন্য হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে। এর পর তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়।
চিকিৎসাধীন হাজতির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের নায়েক নাজমুল, কনস্টেবল আসাদ, কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী প্রধান কারারক্ষী শাহজাহান হোসেন, কারারক্ষী সাজ্জাদ হোসেন, মনির হোসেন ও সাইদুল ইসলাম।
রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স তুলি খাতুন হাজতি মো. সুজন ওরফে শাকিলের ওষুধ খাওয়ানোর জন্য কেবিনে নক করেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দায়িত্বরত ফোর্সদের ডাক দেন। এর পর ফোর্সের সদস্যরা ওয়ার্ডের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে রুমে হাজতিকে খোঁজখুঁজি করে পাননি।
তখন দেখতে পান রুমের পেছনের জানালা ভাঙা। হাজতি আইসোলেশন ওয়ার্ডের জানালা ভেঙে পালিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; তবে তিনি ফোন ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৬:৪৫ ১৬৪ বার পঠিত