নিউজ২নারায়ণগঞ্জঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি
বলেছেন, নারীদেরকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
নারীদেরকে পিছিয়ে রেখে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সুযোগ তৈরী করে
দিলে নারীরা এগিয়ে আসবে-অর্জিত হবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। তথ্য
প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহকে কাজে লাগিয়ে নারীরা নিজেদেরকে দক্ষ ও সক্ষম করে তুলতে
পারে।
তিনি আজ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলাস্থ ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
জেলা প্রশাসন আয়োজিত বাল্যবিবাহ রোধের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু প্রতিরোধ ও
নারীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে ‘জনসচেতনতামূলক সভা ও সংবর্ধনা’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয়
সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি এবং হুইপ মাহবুব আরা
গিনি এমপি।
স্পীকার বলেন, তারুণ্যের শক্তির পাশাপাশি নারী জনশক্তিকে সম্পৃক্ত করতে পারলে
জীবনমান উন্নয়ন ও সামাজিক সূচক উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়ে যাবে
বাংলাদেশ। নারী জনশক্তিকে উন্নয়ন প্রভাবক হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য
প্রয়োজন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ। এছাড়াও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের মাধ্যমে
মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার কমিয়ে আনা সম্ভব। এ সময় তিনি বাল্যবিবাহ
প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থা, শিক্ষক সমাজ, নারী নেত্রীবৃন্দ,
অভিভাবক এবং সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের প্রতি জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি
করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলার অর্থনৈতিক মুক্তির
পথিকৃত, শোষণ ও ক্ষুধামুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলার স্বাধীনতার
ডাক দিয়েছিলেন। দারিদ্রমুক্ত সমতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবের রাজনৈতিক জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা যাতে
পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে জাতিকে তিনি উপহার
দিয়েছিলেন বিশ্ব সেরা এক অনন্য সংবিধান। জাতির পিতার স্বপ্নকে লালন ও ধারন
করে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস সংগ্রাম
করে যাচ্ছেন কাঙ্খিত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। তিনি বলেন, নারী উন্নয়ন ও
নারী ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহীত পদক্ষেপ বিশ্বে আজ রোল মডেল।
তিনি আরও বলেন, আজকের কন্যা শিশুই ভবিষ্যতের মা। একজন শিক্ষিত মা
জাতিকে উপহার দিতে পারে আলোকিত ঠিকানা। সেকারণে সকল স্তরে নারীর জন্য
চাই নিশ্চিত স্বাস্থ্য সেবা , নারীবান্ধব অনুকূল সেবা খাত এবং উন্নত প্রশিক্ষণ
ব্যবস্থা।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
আরও বক্তব্য রাখেন উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার
এবং গাইবান্ধা জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১২:৩১ ৪১৪ বার পঠিত