২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল—এই তিন বছরের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। চতুর্থ বছরে এসে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটল। বাগেরহাটে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে তিন বছর পর কুমিরের চারটি ছানা ফুটেছে। যে কুমিরটির ডিম থেকে ছানাগুলো ফুটেছে, সেটির নাম পিলপিল।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে এই প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের ডিম থেকে ছানা ফুটেছিল।
বন বিভাগ গত ৫ আগস্ট জানায়, পিলপিল গত ১২ জুন ৪৪টি ডিম পাড়ে। এর আগে ২৯ মে এই প্রজননকেন্দ্রের আরেক কুমির জুলিয়েট ডিম পাড়ে ৫২টি। এই ৯৬টি ডিমের মধ্যে ৬১টিকে রাখা হয় নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার ইনকিউবেটরে। বাকি ৩৫টি ডিম প্রাকৃতিক উপায়ে রেখে ফোটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ইনকিউবেটরে রাখা পিলপিলের মাত্র চারটি ডিম থেকে ছানা ফুটেছে। বাকি ৯২টি ডিম নিষিক্ত (ফার্টিলিটি) হয়নি।
জানা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরে জুলিয়েট ও পিলপল মোট ১৬৪টি ডিম পাড়ে। কিন্তু এর একটি থেকেও ছানা ফোটাতে পারেনি বন বিভাগ। তারা বলছে, বয়স বেশি হওয়ায় প্রজননকেন্দ্রে থাকা একমাত্র পুরুষ কুমিরটির প্রজননক্ষমতা কমে গেছে। এ কারণে নিষিক্ত হওয়ার উপযোগী ডিম পাড়ছে না নারী কুমিরগুলো। এ কারণে বাচ্চা ফুটছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৩:৩০ ১৭৯ বার পঠিত