
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শৈলকুড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ইয়াকুব নামের এক ট্রাক চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তার মরদেহ ভেসে উঠে।
গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, ট্রাক মালিক চাকরি দেয়ার কথা বলে ডেকে নেয় এরপর আর তার সন্ধান মেলেনি তার।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আসাদ জানান, ইয়াকুবের মরদেহ দেখে বুঝা যাচ্ছে তাকে আগে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলা হয়।
তিনি জানান, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পুরো ঘটনা খোলাসা হবে।
ইয়াকুবের ছেলে হৃদয় জানান, ঢাকার পোস্তগোলার ইব্রাহিমের ট্রাকের চালক ছিলেন তার বাবা। কিছু দিন তার বাবার কাছে ৭৫ হাজার টাকা পাওয়ার দাবি করে ইব্রাহিম। এ নিয়ে তর্কের জেরে চাকরি চলে যায় ইয়াকুবের। এরপর থেকে দাবিকৃত পাওনা টাকার তাগাদা আরও বাড়িয়ে দেয় ইব্রাহিম। এক পর্যায়ে শর্ত দেয় ৫০ হাজার টাকা দিলে তাকে ফের ট্রাকে চাকরি দেয়া হবে। তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ৫ হাজার টাকা দাবি করে ট্রাক মালিক। ২৯ ডিসেম্বর স্ত্রীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয় ট্রাক মালিক ইব্রাহিমের সাথে দেখা করার জন্য। এরপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীতে মরদেহ ভেসে উঠে ইয়াকুবের।
নিহত ইয়াকুব কিশোরগঞ্জের নিকলি থানার ভটিয়া ভরাটিয়া গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে ফতুল্লার নবীনগর এলাকায় বাস করতো।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০৩:৪৫ ১৩৯ বার পঠিত