
যশোরের মণিরামপুরে ৫৭ বস্তা ভিজিডির চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হরিহরনগর ইউপির চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম। ভিজিডির ৫৭ বস্তা চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের উদ্দেশে চেয়ারম্যান নিজের হেফাজতে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমন খবরে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার।
দীর্ঘক্ষণ তদন্ত শেষে তারা জানতে পারেন আত্মসাতের উদ্দেশে নয়, উপকারভোগীরা না আসায় চালগুলো বিতরণ হয়নি। সেগুলো চেয়ারম্যান হেফাজতে পরিষদের গুদামে রেখেছেন। স্থানীয় একটি চক্র চেয়ারম্যানকে ফাঁসাতে চাল আত্মসাতের খবর রটিয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) উপকারভোগীদের ডেকে চাল বিতরণের জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়েছেন ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান।
চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, বুধবার দুপুরে আমি উপজেলায় ইউএনওর সাথে মিটিংয়ে ছিলাম। সেখানে খবরপাই চালের ব্যাপারে পিআইও আমার পরিষদে এসেছেন। দ্রুত আমি পরিষদে চলে আসি। বিকেলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আসেন। পরে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত দিয়ে তারা চলে যান।
চেয়ারম্যান বলেন, ডিসেম্বর মাসে বিতরণের জন্য ১৭৪ বস্তা (৩০ কেজির) ভিজিডির চাল তুলি। ৩১ ডিসেম্বর চাল বিতরণ করা হয়। মাঠে কাজ থাকায় ৫৭ জন নারী উপকারভোগী চাল তুলতে আসেনি। সেগুলো পরিষদের গুদামে রাখা ছিল।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের ক্রেডিট সুপারভাইজার সহিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের চাল আত্মসাতের খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে পিআইও আব্দুল্লাহ বায়েজিদ হরিহরনগর ইউপিতে যান। পরে বিকেলে আমরা সেখানে যায়। যেয়ে নিশ্চিত হতে পারি চালগুলো গতমাসে ভিজিডি উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য চেয়ারম্যান তুলেছিলেন। কিন্তু ৫৭ বস্তা বিতরণ হয়নি। সন্ধ্যায় ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত হয় আজ বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানকে চাল বিতরণ করতে হবে।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানকে চালগুলো বিতরণ করতে বলা হয়েছে।
আড়াইবছর আগে ভিজিডির ৪০০ বস্তা চাল উদ্ধার হয় হরিহরনগর ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি গুদাম থেকে। তখন সমালোচনার মুখে পড়েন চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম। বুধবার দুপুর থেকে আবারও তার বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের খবর প্রচার হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০:০৩:০৭ ৮৬ বার পঠিত