রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পদক পেয়েছে রানার অটোমোবাইলস

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পদক পেয়েছে রানার অটোমোবাইলস
বুধবার, ২৩ মে ২০১৮



---জাতীয় অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৬ পেয়েছে রানার রানার অটোমোবাইলস। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদেরর হাত থেকে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ট্রফি ও সনদপত্র গ্রহণ করেন রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

এবার দেশের অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৬ ক্যাটাগরিতে রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেয়েছে ১৩ প্রতিষ্ঠান। শিল্প খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সালের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়।

হাফিজুর রহমান খান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) সভাপতি এবং মোটরসাইকেল প্রস্তুত ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পুরস্কার গ্রহণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এক সময় মোটরসাইকেলের পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এতে বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যেত। কিন্তু এরই মধ্যে রানার অটোমোবাইলস ছাড়াও কয়েকটি স্থানীয় ব্র্যান্ড ২৫ শতাংশের বেশি বাজার প্রায় ইতোমধ্যে দখল করেছে। আরও কয়েকটি বিদেশি ব্র্যান্ড শিগগিরই উৎপাদনে আসছে। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানি পরীক্ষামূলকভাবে সংযোজন শুরু করেছে। এভাবে মোটরসাইকেল শিল্পে ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে স্থানীয় শিল্প। সরকার গত বাজেটে স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদনে শুল্ক সুবিধা দেয়ায় সবাই এদেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘রানার গ্রুপসহ দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একদিন মোটরসাইকেল শিল্পের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হবে বলে আমি দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি।’

উল্লেখ্য ২০০০ সালে চীনের ডায়াং মোটরসাইকেল বিপণনের মাধ্যমে রানার অটোমোবাইলস্ লিমিটেড যাত্রা শুরু করে। ২০০৭ সালে ময়মনসিংহের ভালুকায় স্থাপন করা হয় মোটরবাইকের কম্পোনেন্টস তৈরির কারখানা। ২০১১ সালে রানার ওয়েল্ডিং, পেইন্টিং, এসেম্বলিং, টেস্টিং, চেসিস, রিয়ার ফোর্ক, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, মেইন স্ট্যান্ড, সাইড স্ট্যান্ড, ফুট পিগ এবং ইঞ্জিন তৈরির মাধ্যমে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ২০১২ সালে পুরোদমে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে রানার গ্রুপ। এ সব যন্ত্রাংশ রঙ করার জন্য অত্যাধুনিক পেইন্টশপ স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রানার অটোমোবাইলস দেশে মোটরসাইকেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে স্থানীয় উৎপাদন শিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের মোটরসাইকেলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নেপালে প্রথমবারের মতো মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডে রফতানিও শুরু করেছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:০৬   ২৭৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


শিল্প-কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে সরকার - শিল্পমন্ত্রী
সময়াবদ্ধ গৃহীত পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে - শিল্পমন্ত্রী
সাবরং ট্যুরিজম পার্কে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ হবে
বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় পাকিস্তান
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির প্রবণতা কমে গেছে - অর্থমন্ত্রী
দেশে বর্তমানে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ঋণখেলাপি - অর্থমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে কমিটি করা হয়েছে - বাণিজ্যমন্ত্রী
প্লাস্টিক পণ্যে সরকারি সহায়তা বাড়ানোর আশ্বাস বাণিজ্যমন্ত্রীর
কিশোরগঞ্জে মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল ১৪ বস্তা টাকা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নিয়োগ দিচ্ছে

আর্কাইভ