যশোরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জাহিদ হাসান টোকন (৩০) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন৷ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলা এলাকার বাগমারা মাঠে৷ নিহত যুবলীগ নেতা ওই উপজেলার পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের মাস্টার আলী আসলামের ছেলে ও ঝিকরগাছা পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) ফকির আজিজুল ইসলাম বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত জাহিদ হাসান টোকন একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী৷ তার নামে আমার থানায় ২৭টি মামলা আছে৷ শুক্রবার রাতে তাকে যশোর শহর থেকে আটক করা হয়৷ এরপর শুক্রবার গভীর রাতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েম কোলা এলাকার বাগমারা মাঠে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে৷ এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে টোকনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে জরুরি বিভাগে করতব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র গুলি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের বাবা আলী আসলাম ও তার চাচাত ভাই যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শরিফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে টোকন বাড়ি থেকে বাইর হন। এরপর রাত এগারোটার দিকে আমরা খবর পাই টোকনকে কে বা কারা যশোর শহর থেকে ধরে নিয়ে গেছেন৷
পরে শনিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এসে টোকনের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পাই৷
নিহত যুবলীগ নেতা টোকনের চাচাত ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই টোকন ঝিকরগাছার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতি হিংসার শিকার হয়েছেন৷ তার নামে থানায় যতগুলি মামলা আছে তার বেশির ভাগই মিথ্যা মামলা৷ এর ভেতর ১৫টি মামলায় তিনি অব্যহতি পেয়েছেন৷
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৩:৪১ ২৪২ বার পঠিত