মমতার কাছে আশ্রয় চাইলেন ‘বাঙালি’ তসলিমা

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » মমতার কাছে আশ্রয় চাইলেন ‘বাঙালি’ তসলিমা
বুধবার, ১ আগস্ট ২০১৮



---সহায়-সম্বলহীন বাঙালিদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে কোনও সহানুভূতি নেই। থাকলে তিনি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকেও পশ্চিমবঙ্গে বাসবাস করার সুযোগ করে দিতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। অসমের নয়াগরিকপঞ্জীর তালিকা থেকে বয়াদ যাওয়া মানুষদের বাংলায় ঠাঁই দেওয়া নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন লজ্জার লেখিকা তসলিমা।

শুক্রবার সকালে অসমে প্রকাশিত হয়েছে নাগরিকপঞ্জীর দ্বিতীয় খসড়া তালিকা। সেই তালিকায় নাম নেই ৪০ লক্ষেরও বেশী মানুষের। যাদের অধিকাংশই বাংলাভাষী। ওই রাজ্য থেকে বাঙালিদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। এর পিছনে অসম সরকার এবং কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। দুই ক্ষেত্রেই সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যদিও অসম সরকারের দাবি বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করতেই নাগরিকপঞ্জীর তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এবং সম্পূর্ণটাই হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে।

অসমের নাগরিকপঞ্জীর দ্বিতীয় খসড়া তালিকা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। উত্তর-পূবের রাজ্য অসমের সরকার ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযানে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই রাজ্যের বিতাড়িতদের বাংলায় তিনি ঠাঁই দেবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা।

অসম থেকে বিতাড়িত ব্যক্তিদের বাংলায় থাকতে দেওয়ার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন। মঙ্গলবার রাতের দিকে দু’টি ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা।

প্রথম ট্যুইটে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, “বাংলা ভাষায় কথা বলা ৪০ লক্ষ মানুষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহানুভূতি দেখাচ্ছেন দেখে ভালো লাগল। অসম থেকে তাড়িয়ে দিলে তাদের পশ্চিমবঙ্গে থাকতে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।” এরপরে ওই ট্যুইটের শেষ লাইনে মমতার উদ্দেশ্যে সুকৌশলে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন তসলিমা। তাঁর প্রশ্ন, “বাঙালিদের প্রতি এত দরদ থাকলে আমার প্রতি কেন কোনও সহুভূতি নেই মমতার। আমাকে তো ওনার বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলা থেকে খেদিয়েছিল।”

১৯৯৩ সালে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তসলিমা। এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে ইসলামের সংস্কার করার পক্ষে সওয়াল করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই দেশ ছাড়া দুঃসহবাসের শ্রষ্ঠা। ২০০৪ সাল থেকে তিনি কলকাতায় থাকতে শুরু করেন। তবে ভারতের নাগরিকত্ব তাঁকে দেওয়া হয়নি। কলকাতাতেও তসলিমা নাসরিনকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। একাধিক মুসলিম সংগঠন তাঁর বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। ২০০৭ সালে কলকাতা থেকে জয়পুর হয়ে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের শাসনক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট সরকার।

প্রথম ট্যুইট করার একঘণ্টা পরে দ্বিতীয় ট্যূইট করেছেন তসলিমা। সেখানে আবার ক্ষোভ ঝড়েছে লেখিকার আঙুলে। তিনি লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সকল উদ্বাস্তু বা গৃহহীন বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষদের প্রতি সহানুভূতি নেই। যদি থাকতো তাহলে আমরা প্রতিও রিনি সহানুভূতি দেখাতেন এবং আমায় পশ্চিমবঙ্গে থাকার অনুমতি দিতেন।”

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৬:৩২   ৩১৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


কানাডায় এলোপাথাড়ি গোলাগুলি, চার বাংলাদেশি আহত
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে চায় জাতিসংঘ - গুতেরেস
ব্রাজিলে করোনায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৩ জনের মৃত্যু
করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৭৬ হাজার ছাড়াল
ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় হার লিভারপুলের
ফেসবুক বন্ধ করল মিয়ানমারে সামরিক জান্তা
করোনার বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ কার্যকর স্পুটনিক ভি
করোনার ছোবলে থামছে না প্রাণহানি, মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৪৭ হাজার
মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আজ
তুর্কি নিয়ন্ত্রিত উত্তর সিরিয়ায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত

আর্কাইভ