বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩



---

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এর আগে, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রীয় সালাম ও গার্ড অব অনার দেয় গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল।

বঙ্গভবনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধ যান। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন তিনি।

এদিকে, সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাতে গুলশানের বাসভবন ছেড়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গভবনে ওঠেন মো. সাহাবুদ্দিন। একই দিন বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে শপথ পড়ান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদ্যসাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শপথ শেষ হলে নথি হস্তান্তর এবং রীতিমাফিক চেয়ার বদল করা হয়। এ সময় বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চেয়ার ছেড়ে দিলে শূন্য সেই আসনে বসেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।

৭৩ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। পরে ইসি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধেও তিনি অংশ নেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে বিচার বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন।

ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি কারাবরণ করেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। ওই সময় হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনাও ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওইসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগের সবশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে তিনি এক ছেলের বাবা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০০:১৩   ২৩৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ইতিহাসের এই দিনে
আল কোরআন ও আল হাদিস
আজকের রাশিফল
মাইলস্টোনের ৩ শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন : প্রধান উপদেষ্টা

এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রুপে বাংলাদেশ
রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগ
রাষ্ট্রপতির কাছে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
নির্বাচনের আগে ব্যাংকিং সেক্টরে সাইবার নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় বাংলাদেশে আসা ব্রিটিশ চিকিৎসকদের ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ