সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ১৬ পয়েন্টে তীব্র ভাঙন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ১৬ পয়েন্টে তীব্র ভাঙন
সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩



তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ১৬ পয়েন্টে তীব্র ভাঙন

তিস্তার পানি কুড়িগ্রামের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের স্রোতে তিস্তার বাম তীরজুড়ে অন্তত ১৬টি পয়েন্টে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে ভাঙনের রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলায় গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। গত এক সপ্তাহে এ দুই উপজেলায় ঘর-বাড়ি হারিয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। হুমকিতে রয়েছে বুড়িরহাটের দেবে যাওয়া পরের বাকি অংশটুকুও।

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িযালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখা এলাকার সামছুল আলম জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার ভাঙন আমার ঘরের কাছে চলে এসেছে। রক্ষা পাওয়ার উপায় নাই। দুটি ঘর সরিয়েছি। বাকি ঘরও সরিয়ে নিতে হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ করছে না।

একই এলাকার নুরল মিয়া জানান, ভাঙনে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ঘর-বাড়ি সরিয়ে যে কোথায় নিয়ে যাবো তার কোনো উপায় নেই৷ কেউ জায়গা দিতে চায় না। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।

অন্যদিকে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি রোববার (২৭ আগস্ট) থেকে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। পানিতে তলিয়ে আছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবার চরের মজিবর রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে আমাদের ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করছে। আমরা খুব দুর্ভোগে রয়েছি।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তার পানি কমে গেলেও এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও ভাঙনের বিষয়ে তিনি বলেন, নদ-নদীর পানি বাড়া-কমার সঙ্গে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের প্রায় ৪০টি পয়েন্টে ভাঙন চলছে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:০২:০৭   ৮৭ বার পঠিত