নাইকো মামলা বাতিলের বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

প্রথম পাতা » আইন আদালত » নাইকো মামলা বাতিলের বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টে খারিজ
বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩



নাইকো মামলা বাতিলের বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আনা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এখন নিম্ন আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে।
গত ২৮ আগস্ট বিষয়টি নিয়ে শুনানি শেষে আজ হাইকোর্টে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।
গত ১৭ মে খালেদা জিয়ার পক্ষে এ আবেদন করেন আইনজীবী কায়সার কামাল। গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৮ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর সাবেক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর আগে, আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তারা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
দুদকের দায়ের করা অন্য দুটি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি নিজ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৯:০১   ১৭৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ বক্তব্যটি শেখ হাসিনার
নারায়ণগঞ্জ আদালতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চড়-থাপ্পড়
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেকোনো সময় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ২ বিচারপতিকে সংবর্ধনা
ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জন
স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ২৫ বছর পর বৃদ্ধ স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
শিগগিরই নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাচ্ছে জামায়াত: অ্যাডভোকেট শিশির
শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ