সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন সিদ্ধান্ত

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন সিদ্ধান্ত
মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩



সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন সিদ্ধান্ত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না মেলায় সে সমাবেশ হচ্ছে না।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

গণতন্ত্র আছে-থাকবে। আর গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত করতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। যারা নির্বাচন বানচাল করতে হরতাল-অবরোধ করছে, তারা গণতান্ত্রিক শক্তি নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন,

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করতে চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না মেলায় সে সমাবেশ হচ্ছে না। ১০ ডিসেম্বর বড় পরিসরে আওয়ামী লীগের সমাবেশটি হচ্ছে না, যা ঘরোয়াভাবে আয়োজন করা হবে।

উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইনডিপেনডেন্ট মুসলিম পার্টি ও ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের অনবদ্য বিজয়েও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শ্রমজীবীসহ এতদাঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে নাবিক, রেল কর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিকশাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মেহনতি মানুষের স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এ উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে সোচ্চার ও সংগঠিত করেছিলেন। এক জন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তার দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়। তার সুযোগ্য উত্তরসূরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দীর্ঘ ২৪ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৩:১৫   ৫৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে বরিশালে - পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐক্য ও শক্তির প্রতীক : ধর্মমন্ত্রী
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
সাতক্ষীরায় ধান বোঝাই ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিক নিহত
প্রথমবারের মত বিশ্ব ব্যাংক ভূমি সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামপুর-১ আমিনিয়া জামে মসজিদের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন যুবনেতা বাবু
ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় সেই যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল মানুষ এক ছাতার নিচে বাস করবে - পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক কারাতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সনদ বিতরণ
টেক্সাসে ঝড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ জনে

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ