মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী আজ
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩



মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী আজ

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর)। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করলেও তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন।
মওলানা ভাসানী দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য সারা জীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম।

১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম যান ভাসানী। ইসলামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ সালে দেওবন্দ গিয়ে দুই বছর অধ্যয়নের পর আসামে ফিরে আসেন। ১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ময়মনসিংহ সফরে এলে তার ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত হন ভাসানী।

১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের পর খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাভোগ করেন। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান তিনি। ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। এর পর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী যুক্ত হয়।

রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন ভাসানী। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

ভাসানীর পরিবার
১৯২৫ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জমিদার শামসুদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর মেয়ে আলেমা খাতুন ভাসানীকে বিবাহ করেন। যিনি (পীর মা হিসেবে খ্যাত) তার বাবা পাঁচবিবির জমিদার কর্তৃক পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সকল জমি মওলানা ভাসানীর জনকল্যাণমূলক কাজে (হক্কুল এবাদ মিশন) দান করেন। তার দুই কন্যা সন্তান এবং দুই ছেলে সন্তান ছিল।

আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দ্বিতীয় সহধর্মিনী হামিদা খানম ভাসানী ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া জেলার আদমদিঘি থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কাসেম উদ্দিন সরকার জমিদার শ্রেণিভুক্ত একজন সমাজ হিতৈষি ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন। অত্র এলাকায় কৃষক সংগঠনের রেশ ধরেই মওলানা ভাসানীর সাথে তার পরিচয়।

১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুরারোগ্য ক্যান্সারে মত্যুবরণ করেন হামিদা খানম। তার একটি ছেলে সন্তান ও দুইটি কন্যা সন্তান ছিল।

সম্মাননা
ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় তিনি ৮ম হন।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪১:৪৫   ৫৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সরিষাবাড়ীতে মুঠোফোন হারানোকে কেন্দ্র করে মন্দির এলাকায় হামলা ও মারধর,আটক ৩
ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার
বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ১০০, কর্মকর্তার ২০০ ডলার
নেদারল্যান্ডসে ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা’ বিষয়ে বহুপাক্ষিক আলোচনা
সুন্দরবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় সব করেছেন
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কান্ডারী : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
জাতির পিতার সমাধিতে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা
কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ