নীলফামারীতে একদিনের ব্যবধানে প্রায় ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। এতে চরম দুর্ভোগে নিম্নআয়ের মানুষ। গত কয়েক দিন থেকে নীলফামারীতে সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা হ্রাস অব্যাহত থাকায় কমছে না মানুষের দুর্ভোগ।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার (২৭ জানুয়ারি) যা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সামান্য কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের দেখা দিলেও প্রখরতা থাকছে না। এছাড়া সন্ধ্যার পর ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাস।
এদিকে, শীতের তীব্রতা প্রকট আকার ধারণ করায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিপর্যয় ঘটছে। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। শীতের কারণে তাদের দৈনন্দিন আয় কমে গেছে।
অন্যদিকে রোববার বাতাসের আর্দ্রতা শতকরা ৯৫ ভাগ। সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টি সীমা ছিল মাত্র ১০০ মিটার। তবে ৯টার দিকে তা বেড়ে ২০০ মিটার হয়। প্রতিদিন বিমান উঠানামা করছে অনিয়মিতভাবে। বিশেষ করে সকাল এবং রাতের ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। পাশাপাশি প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক লোকের সংখ্যা বেশি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুর অভিভাবক আমেনা বেগম বলেন, ‘অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে আমার শিশুর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।’
হুসনা বেগম নামে আরেক একজন বলেন, ‘কোনমতে পুরনো কাঁথা দিয়ে বাচ্চাকে ঢেকে রাখছি। তাতেও শীত মানছে না। গত ১ মাস থেকে শীতে আমাদের বেহাল দশা।’
কৃষি শ্রমিক রফিক হোসেন বলেন, ‘ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে সকাল সকাল মাঠে নামা কষ্টকর হয়ে যায়। কাজ ধরতে প্রায় ৯ থেকে ১০টা বেজে যায়। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে ধানের বীজতলাও নষ্ট হতে শুরু করেছে।’
১০০ শয্যা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াসম বারী জয় বলেন, ‘আমরা শিশুদের চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি কুসুম গরম পানি খাওয়া, বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে কম বের করা ও বাসি খাবার না খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি।’
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৪:০৪ ৮১ বার পঠিত