সকলের জন্য সংসদ নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে দেশের গণতন্ত্র কেড়ে নেয়া হত : প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সকলের জন্য সংসদ নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে দেশের গণতন্ত্র কেড়ে নেয়া হত : প্রধানমন্ত্রী
শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪



সকলের জন্য সংসদ নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে দেশের গণতন্ত্র কেড়ে নেয়া হত : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, সকলের জন্য সংসদ নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে দেশের গণতন্ত্র কেড়ে নেয়া হত।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “সবার জন্য (আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী) নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে শুধু নির্বাচনই কলঙ্কিত হতো না, দেশের গণতন্ত্রকেও কেড়ে নেয়া হতো।’
প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, তাঁর দলের লোকদের জন্য নির্বাচন না হলে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা নষ্ট হয়ে যেত।
প্রতি বছর বাজেট প্রণয়নের সময় তাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসরণের কথা উল্লেখ করে- তিনি আরও বলেন, “এই অর্জন ধরে রাখতে আমরা নির্বাচনের আগে যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম, তা আমরা ভুলে গেছি, এমন কথা বলবেন না।”
তিনি বলেন, তাঁর দল দলের সকল লোকের জন্য পুনরায় উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করেছে, নির্বাচনটি ঘনিয়ে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষের জন্য কে কতটা কাজ হয়েছে এবং কে ইতোপূর্বে তা করতে পারেনি তাও খতিয়ে দেখা হবে। এর মাধ্যমে আমরা দেখব- কাকে জনগণ গ্রহণ করেছে।”
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে কোনো ধরনের সংঘর্ষের বিরুদ্ধে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা কোনো ধরনের সংঘর্ষ চাই না। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সে যেই হোক না কেন।”

দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে উল্লেখ করে টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া শেখ হাসিনা বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাদের অবশ্যই এর পক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু সেগুলোও বিরোধীরা মেনে নিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সকলে নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দেখেছেন দ্বাদশ নির্বাচনে যাতে ভোটাররা না আসে, নির্বাচন অবাধ হতে না পারে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সহজ হয় তা নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে।
তিনি বলেন, “নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে লক্ষ্যে আমি এই নির্বাচনকে উন্মুক্ত করেছি, যাতে, অন্তত একজন প্রতিপক্ষ থেকে যাবে এবং নির্বাচনটি হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। ভোটাররা আসবে, তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেবে, তারা যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে, জনগণ সেই অধিকার পাবে।”
দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত এবং দলের লোকেরা আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে উল্লেখ করে তিনি দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে বৈরীতা তা সবাইকে ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যা হয়েছে, আসুন, আমারা সব ভুলে যাই। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কাজ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা তার সমাধান করব। কেন্দ্রীয় কমিটি তা করবে। তবে, নিজেদের মধ্যে কোনো আত্মঘাতী দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়।’

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৯:০৮   ১৮৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন চায়: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা
ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করছে সরকার : বিডা চেয়ারম্যান
জামালপুরে ৩১ দফা দাবিতে যুবদলের লিফলেট বিতরণ।
‘গত ১৬ বছর ওসমান দালালরা ভোট ‘হাইজ্যাক’ করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে’
‘বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডেঙ্গু মশার প্রজননক্ষেত্র’
‘ই-বেইলবন্ড’ চালুর মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও গতি আসবে - আসিফ নজরুল
গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সংকট সৃষ্টি হলে ‘কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ’ হতে পারে : রিজভী

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ