বাংলাদেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্য বিয়ে হয় বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। তিনি আরো জানান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ৬৪টি জেলায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০ বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ সকল তথ্য জানান। এর আগে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে লিখিত প্রশ্নের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু তার প্রশ্নে করোনাকালীন সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, অসচ্ছল পরিবারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার হার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কন্যাশিশুদের জন্য সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান তিনি।
জবাবে প্রতিমন্ত্রী ‘মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯’ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে বাল্য বিবাহের হার ১৫ বছরের নিচে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ১৮ বছরের নিচে ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রতিমন্ত্রী বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ১৭টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জানান, জীবন বাঁচাতে সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ৫ লাখ ৯ হাজার ৮৭০জন শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ব কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং শিশুর সাতার সুবিধা প্রদান’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে। প্রকল্পের আওতায় আট বিভাগের ১৬টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় এক থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের জন্য ৮ হাজারটি শিশুযত্ন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা এবং ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সাতার প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সিমিন হোসেন জানান, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০টি বাল্য বিয়ে রোধ করা গেছে। একই সময়ে বাল্য বিয়ে রোধে ৪৩ হাজার ৭৭৭টি উঠান বৈঠক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৭:১৮ ৪৮ বার পঠিত