![বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে প্রস্তুত চারুকলা ও ছায়ানট](https://www.news2narayanganj.com/cloud/archives/2024/04/0f1fc29a.jpg)
ঈদ আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই দুয়ারে হাজির আরেক উৎসব। আরেক আনন্দের ক্ষণ। অসাম্প্রদায়িক শক্তির বলে বলীয়ান বাঙালির সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে রঙিন উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ যেন দুই উৎসবের যুগলবন্দি। তাইতো আনন্দও বাঁধভাঙা।
বৈশাখ মানেই যেন এক অন্যরকম ভালোলাগা, ভালোবাসা। যে ভালোবাসা মনের অজান্তেই ধরা দেয় গান হয়ে। বৈশাখ আবাহনের আনন্দে ভাসে মানুষ। ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় যা লাভ করে পরিপূর্ণতা।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিন দেখা যায়, ১৪৩১ নতুন বছর বরণে রমনার বটমূলে চলছে প্রস্তুতি। কণ্ঠের সঙ্গে যন্ত্রের সমন্বয়ে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত শিল্পীরা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গান আর সুরে সুরে পুরানোকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের আবাহন করবে ছায়ানট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জোর প্রস্তুতি চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রারও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের রাতদিনের নিরলস পরিশ্রমে একটু একটু করে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে রঙিন বাহারি সব মুখোশ।
এতসব আয়োজনের ভিড়ে সবচেয়ে বেশি প্রধান্য পাচ্ছে মোটিফ তৈরিতে। এবার পাখি, টেপা পুতুল, ফুল, গন্ধ গোকুল, হাতিসহ মোট পাঁচটি মোটিভ স্থান পাবে মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
বৈশাখ বরণের আনন্দে শামিল হতে অনেকেই ঘুরে দেখছেন চারুকলা। প্রত্যাশা গোঁড়ামির বিরুদ্ধে জয় হবে সত্য ও সুন্দরের।
‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে রোববার সকাল সোয়া ৯টায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৯:৫৭ ৫৪ বার পঠিত