বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জাহাজ ভাঙা শিল্প ও এনজিও সংস্থা ইপসা’র কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে জাহাজভাঙ্গা শিল্প পরিদর্শনের অপেক্ষায় ছিলাম, অবশেষ এলাম। এখানে জানতে পারি ৪টি শিপইয়ার্ড গ্রিন শিপ ইয়ার্ডের সনদ পেয়েছে। আমি আশা করবো হংকং কনভেনশনের আলোকে সবগুলো শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড নিজেদের গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। শিপ ইয়ার্ডে পরিবেশ সুরক্ষা এবং শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মালিকপক্ষের নানা উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা দেখে আমার ভালো লেগেছে।
মঙ্গলবার (২৩এপ্রিল) চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলায় অবস্থিত দেশের একমাত্র জাহাজভাঙা শিল্পসহ এনজিও সংস্থা ইপসা’র বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, ইপসায় আসার আগে আমি জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত শিল্প পরিদর্শন করেছি। শিপ রিসাইক্লিং সেক্টরের জন্য ইপসা’র নিরাপত্তা সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের জন্য আমি ইপসাকে সাধুবাদ জানাই।
এদিন সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সীতাকুন্ডে অবস্থিত উন্নয়ন সংস্থা ইপসা’র সেইফটি ফার্স্ট সেন্টার পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক রিলেশন অফিসার মি. স্টিফেন ইভেলি, ইনফরমেশন অফিসার মিস. আশা বে, এবং প্রেস ও মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর তারিকুল ইসলাম নাহিন। ইপসা’র সেইফটি ফার্স্ট সেন্টার পরিদর্শনকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, ইপসা’র কোঅর্ডিনেটর মো. আলী শাহীন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইপসা’র সেইফটি ফার্স্ট সেন্টার ও প্রশিক্ষণ কাযর্ক্রম পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।
এসময় এনজিও ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ইপসা’র বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিত করার পাশাপাশি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের চলমান ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন।
ইপসা কর্মকর্তা মো. আলী শাহীনের সঞ্চালনায় এসময়ায় আরো উপস্থিত ছিলেন সীতাকুন্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম নায়হানুল বারী, ওসি তদন্ত মো. সোলাইমান।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৫:২১ ৮০ বার পঠিত