অভিশংসনের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » অভিশংসনের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪



অভিশংসনের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু শুক্রবার অভিশংসনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন। ইউন সুক ইওল ৩ ডিসেম্বর তার দেশে সামরিক আইন জারি করার কারণে সংসদীয় ভোটের পরে অভিশংসনের সম্মুখীন হন।

কিন্তু বিরোধী দলীয় সাংসদরা এখন প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হানকেও পদ থেকে অপসারণ করতে চান। তাদের যুক্তি তিনি ইউনের অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার এবং তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি মানতে অস্বীকার করছেন।

পার্লামেন্টে উত্থাপিত অভিশংসন প্রস্তাবে বিরোধীরা বলেছেন যে, হান ইচ্ছাকৃত ভাবে বিদ্রোহের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে বিশেষ তদন্ত এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং সাংবিধানিক আদালতের তিনজন বিচারকের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই ধরনের কাজ একজন সরকারি কর্মকর্তার আইন সমুন্নত রাখা এবং জনগণের সেবা করার দায়িত্বের লঙ্ঘন।

বিরোধী দল তাদের চেষ্টায় সফল হলে দক্ষিণ কোরিয়া দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিতীয় অভিশংসন দেখতে পাবে। আর এটি হবে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের অভিশংসন।

হান অপসারিত হলে তার জায়গায় অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

বর্তমান বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সাংবিধানিক আদালতের গঠন, যা ইউনকে অভিশংসনের সংসদীয় সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে কি না তা নির্ধারণ করবে।

সাংবিধানিক আদালতে বর্তমানে তিনজন বিচারকের অভাব রয়েছে। আদালত বেঞ্চের ছয় সদস্য নিয়েই এগিয়ে যেতে পরবে। তবে এক্ষেত্রে একটি মাত্র ভোট বিপক্ষে পড়লেই তা ইউনকে পুনর্বহালের জন্য যথেষ্ট হবে।

বিরোধীরা চায় হান নয় সদস্যের বেঞ্চ পূরণের জন্য আরও তিনজন মনোনীত ব্যক্তিকে অনুমোদন দিন। কিন্তু তিনি এখনও এটি করতে অস্বীকার করে চলেছেন। মূলত এ নিয়ে উভয় পক্ষই অচলাবস্থায় পড়েছে।

ডেমোক্রেটিক পার্টির আইন প্রণেতা জো সিউং-লে বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তিন বিচারপতিকে নিয়োগ দিতে হানের অস্বীকৃতিতে ‘তার আসল রং বেরিয়ে পড়েছে’।

জো বলেন, এই প্রত্যাখ্যান ‘সংবিধান ও আইনের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ’। তার দল ‘সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি স্থিতিশীল করতে’ হানকে অভিশংসনের চেষ্টা করবে।

হান বলেছেন যে তার ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) এবং বিরোধী দল মনোনীত প্রার্থীদের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছলেই তিনি বিচারকদের নিয়োগ প্রত্যয়ন করবেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধান এবং আইনে সুরক্ষিত নীতি হলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগসহ প্রেসিডেন্টের উল্লেখযোগ্য একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা।’

৭৫ বছর বয়সী সাবেক এই আমলা বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় পরিষদে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর একটি ঐক্যমত থাকা চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৬:২৮   ১০০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


ইসরাইলের নাম না নিয়ে কাতারে হামলার নিন্দা জানালো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ
ইসরাইলের ‘চরমপন্থি মন্ত্রীদের’ শাস্তি দেয়ার ঘোষণা ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্টের
নেপালে অরাজকতা, দেশজুড়ে কারফিউ ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি
কড়া সতর্কবার্তা দিলেন নেপালের সেনাপ্রধান
এবার নেপালের ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
তীব্র বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
নেপালে বিক্ষোভে ভয়াবহ সহিংসতা, রাজধানীতে সেনা মোতায়েন : নিহত ৮
ইরফান আলী গায়ানার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত
‘ট্রাম্পকে বিদায় করো’— প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল ওয়াশিংটন ডিসি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ